তিনি বলেন, “শুনেছি যে যদি কিছু না করত তাহলে ৩০-৪০ বছর আরাম করে থাকতে পারত। কিন্তু এমন কিছু হয়নি যে যার জন্য বিল্ডিংটা ভয়ঙ্কর হয়ে গিয়েছে, বিপজ্জনক সার্টিফিকেটও ছিল না। এটা প্রোমোটার নিজে পাকামি করে নিজের কিছু লোকের পাল্লায় পড়ে করেছে। প্রোমোটারকে নিতে হবে এর দায়, ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। প্রোমোটার যাবে কোথায়, উবে যেতে পারে, ভ্যানিশ হয়ে যেতে পারবে না।”
advertisement
আরও পড়ুন: এরই নাম ভারত! ২০ বছর পর উদ্ধার খুলনার মহিলাকে গঙ্গাসাগরে যা করা হল, শুনলে গর্ব হবে
এদিন এলাকায় গিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশাপাশি স্থানীয়দের সঙ্গেও কথা বলেন ফিরহাদ হাকিম। শেষে তিনি বলেন, “এই ঘটনা ইঞ্জিনিয়ারের ব্যর্থতার কারণেই ঘটেছে। পুরসভাকে না জানিয়ে প্রোমোটার নিজে হরিয়ানা থেকে কোম্পানি এনে হেলা যাওয়া বাড়ি সোজা করার চেষ্টা করতে গিয়েই এই বিপর্যয়।” গাড়ি ওঠানোর জগ দিয়ে এই কাজ করতে যাওয়াতেই এমন বিপত্তি বলে জানান মেয়র।
এরপর বাম আমলকে কাঠগড়ায় তুলে ফিরহাদ হাকিম বলেন, “সিপিএমের বা বামফ্রন্টের রাজত্বে জলাভূমি বোঝানোটাই কালচার ছিল। আমরা আসার পর এটা আইন করে বন্ধ করা হয়েছে। তখন পরিবেশ নিয়ে এত হই হই ছিল না। বাম আমলে কোনও বাড়ির প্ল্যানিং হত না। ফাইলে সব নথি জমা থাকত। আমরা আসার পর কোনও ফাইল খুঁজে পাইনি। বাম আমলে কলোনি এলাকায় অনেক বাড়ি তৈরি হয়েছে। ওই সব বাড়ির অনেক গুলিরই কোনও নথি নেই। সিপিএম যদি সে সময়ে রাজনীতি না-করত, যদি আরও কড়া হত, তাহলে এই সমস্যা হত না।”
শেষে ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে কলকাতার মেয়র বলেন, “যে পরিবাররা এখানে ফ্ল্যাট কিনেছেন তাদেরকে সব রকম ভাবে সাহায্য করব। কথা বলে তাদের পাশে থাকব। ক্ষতিপূরণের দিকটাও খতিয়ে দেখতে হবে। এবার যাতে সঠিকভাবে প্ল্যান পেয়ে ফের নির্মাণ করতে পারেন সেই বিষয়টিও দেখাশোনা করব।” এছাড়া বাড়িটি যাতে সম্পূর্ণ বিজ্ঞান ভিত্তিক ভাবে ভাঙা হয়, স্থানীয়দের কোনও সমস্যা না হয় তারও আশ্বাস দিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম।