প্রসঙ্গত, কলকাতা পুর এলাকায় পার্কিং ফি আচমকা কয়েকগুণ বৃদ্ধি নিয়ে পুরসভা তথা মেয়র ফিরহাদ হাকিমের সিদ্ধান্তে প্রথম থেকেই অসন্তুষ্ট ছিল শাসক দল। শেষমেষ পিছু হটে কলকাতা পুরসভা। কলকাতার পার্কিং ফি বৃদ্ধির প্রসঙ্গে অভিযোগ পেয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরেই বর্ধিত পার্কিং ফি প্রত্যাহার করে পুরনো হারেই ফি নেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা শনিবার রাতেই জানানো হয় পুরসভার তরফে। গত এক বছর ধরে পুরসভায় বারবার বৈঠক হয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে পার্কিং ফি বৃদ্ধির বিষয়ে। শেষ পর্যন্ত পয়লা এপ্রিল থেকে কার্যকর হয় বহু বছর পর কলকাতা পুরসভার পার্কিং ফি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত। আর নতুন হারে এই পার্কিং ফি আদায় নিয়ে শুরু হয় তুমুল বিতর্ক।
advertisement
আরও পড়ুন: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে 'যুক্ত' গৌতম তান্তিয়ার! কে তিনি? তাজ্জব ইডি! কুন্তলের কাণ্ডে তোলপাড়
কলকাতা পুরসভার বর্ধিত পার্কিং ফি নিয়ে শুক্রবার তণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেছিলেন, "আমাদের নেতৃত্বের নজরে এসেছে। পুরসভা এলাকায় পার্কিংয়ের খরচ অনেকটা বেড়ে গিয়েছে। সাধারণ মানুষকে অনেকটা টাকা বাড়তি দিতে হচ্ছে। বিষয়টা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পৌঁছেছে। তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলেছেন। এই সরকারের ইচ্ছে সাধারণ মানুষের উপর যাতে চাপ না পড়ে। ২০১১ থেকে এমন কাজ করেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যাতে মানুষের উপর চাপ তৈরি হয়। তবে এই সিদ্ধান্তে মানুষ বিস্মিত। বিষয়টা নিয়ে কথা বলেন অভিষেক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্পষ্ট সিদ্ধান্ত, তাঁর অনুমোদন সাপেক্ষে এটা হয়নি। যে স্তরেই হোক সরকার বা দল এটা অনুমোদন করে না। তৃণমূলের তরফে এমন সরকারি প্রতিক্রিয়া পাওয়ার পরেই কলকাতা পুরসভা বর্ধিত পার্কিং ফির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নেয়।
আরও পড়ুন: 'দিল্লি স্তব্ধ করে ছাড়ব, মন্ত্রক চলতে দেব না...' বৃহত্তর আন্দোলনের হুমকি অভিষেকের
শনিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তৃণমূলের মুখপাত্র তথা দলের রাজ্য কমিটির অন্যতম সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ পার্কিং ফি বিতর্ক দল যে আর জিইয়ে রাখতে চায় না সে ব্যাপারে স্পষ্ট জানিয়ে বলেন, ' পার্কিং ফি ইসু ক্লোজড চ্যাপ্টার'।