তিনি আরও বলেন, "বাংলাকে যে স্কিমে টাকা দেওয়া হচ্ছে, সেটা আসলে বাংলার মানুষের করের টাকা। গুজরাতের টাকা দিচ্ছে না। ৪৪,৬৩৮ কোটি টাকা ২০১৮-১৯ সালে কেন্দ্র নিয়ে গেছে। এই টাকার একটা অংশ তিনি দিচ্ছেন। আমাদের করদাতা ৫৬ হাজার কোটির কাছাকাছি। এছাড়া এক্সাইজ, সেস, কাস্টমস ডিউটি আছে। কয়েক লক্ষ কোটি টাকা এরা নিয়ে যান।"
advertisement
আরও পড়ুন, পঞ্চায়েতের আগেই জোর ধাক্কা, তৃণমূলের হাতছাড়া হল ঝালদা পুরসভা!
ফিরহাদ এদিন বলেন, "জিএসটি ৫০,১৭৪ কোটি শুধু এই বছর নিয়ে গেছে। আমাদের টাকা তারপরেও দিচ্ছেন না। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা, আরবানে কেন্দ্র দেয় ৪৩%। ৫৭% টাকা বাংলার মানুষ দেয়৷ আমি ৪৩% টাকার জন্য কেন্দ্রের নাম দেব? আসলে ওরা বাংলা ভাগে বিশ্বাস করে। গ্রামীণ এলাকায় ওরা ৪০% দেয়, আমরা ৬০%। কলকাতা শহরে মাত্র ২৫% দেয়। আমরা ৭৫% দিই। স্বচ্ছ ভারত মিশনে আমরাও ৫০% দিচ্ছি। তাহলে তোমার নাম রাখব, আমার নাম কেন রাখব না? সবটাই বাংলার টাকা।"
আরও পড়ুন, শিশু সুরক্ষা কমিশনকে পাল্টা প্রশ্ন শুভেন্দুর! 'জন্মদিন' ইস্যুতে দিলেন জবাবও
কেন্দ্রীয় সরকারকে তোপ দেগে ফিরহাদ বলেন, "তুমি তো আলাদা ফান্ড দিচ্ছো না। জল জীবন মিশনে জমিতেও ৫০% টাকা দিই। গ্রামীণ সড়ক যোজনায় জমি ও টাকা দিচ্ছি। এভাবে টাকা আটকানো যায় না। ভারতের সংবিধান অনুযায়ী টাকা দিতে হবে। আপনি আমাকে টাইট নয়, টাইট দিচ্ছেন গ্রামের মজদুরকে। দিন আনা দিন খাওয়া মানুষকে। মস্তানি করে, চিৎকার করে রাজনীতি হয় না।"