৬৯ নম্বর ওয়ার্ডের আহিরীপুকুর রোড থেকে এক নাগরিকের বারবার অভিযোগ জানানোর পরেও বেআইনি নির্মাণ নিয়ে কোনো পদক্ষেপ করেনি পুরসভা। তাতেই ক্ষোভ প্রকাশ করে ফিরহাদ (Firhad Hakim) জানান, ৬ মাস সময় দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনে আটকে রাজ্যের প্রায় দুশো বাসিন্দা, সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিলেন মমতা
এর আগেও টক টু মেয়রে (Talk to Mayor) ফোন করেছিলেন শেখ আব্দুল করিম। জমিতে বেআইনি নির্মাণ প্রসঙ্গে অভিযোগ জানান। সেদিনও মেয়র ফিরহাদ হাকিম আশ্বাস দিয়েছিলেন নির্মাণ বেআইনি হলে উপযুক্ত পদক্ষেপ করবে কলকাতা পুরসভা। তারপর কেটে গেছে অনেকটা দিন। তবু কলকাতা পুরসভা থেকে সেভাবে কোনও ব্য়বস্থা নেওয়া হয়নি। বেআইনি নির্মাণ হয়েই চলেছে। শুধু বরো থেকে মাত্র একদিন ফোন করে নিয়মরক্ষা করা হয়েছে মাত্র।
advertisement
আরও পড়ুন: বাড়ি পছন্দ, দক্ষিণ কলকাতায় অস্থায়ী ভাবে শুরু হবে তৃণমূলের কার্যালয়
টক টু মেয়র প্রোগ্রামে নাগরিকদের কাছে এই অভিযোগ শুনে রীতিমতো ক্ষুব্ধ হন ফিরহাদ হাকিম। পুরসভার আধিকারিকদের তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, "একশন টেকেন রিপোর্ট কোথায়? শুধুমাত্র নোটিশ দিয়ে কাজ সারলে হবে না। নোটিশে ৬ মাস সময় থাকবে আর সেই সময়ে বেমালুম বাড়ি তৈরি হয়ে যাবে বেআইনিভাবে। সেই বাড়িতে লোক ঢুকে যাবে। তারপর পুরসভা কার্যত অসহায় হয়ে যাবে। আজ করছি কাল করছি বলে এইভাবে বেআইনি নির্মাণ কে প্রশ্রয় দেওয়া যাবে না।"
মেয়র এদিন কার্যত বিল্ডিং বিভাগের নিচুতলার কর্মী আধিকারিকদের দিকে আঙুল তোলেন। সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশের বিরুদ্ধেও তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
তবে জনপ্রতিনিধিদের যে এ ব্যাপারে কিছুই করার থাকে না সে বিষয়েও মনে করিয়ে দেন ফিরহাদ হাকিম। ফিরহাদ হাকিম বলেন, 'পয়সা থানা আর বিল্ডিং বিভাগ খায়। কাউন্সিলররা জানবে না আমরাও জানতে পারব না। নিজে ৮২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হওয়া সত্ত্বেও কিছু জানতে পারিনি।"
বিভিন্ন বস্তি এলাকায় যারা 'দাদাগিরি' করে, তাদেরও সতর্ক করেন কলকাতা পুরসভার মেয়র। আশ্বাস দিয়ে বলেন, "আমরা ব্য়বস্থা নিচ্ছি"।