মঙ্গলবার ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের নেতা,কর্মীদের নিয়ে বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করেছিল তৃণমূল৷ সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি, কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, দক্ষিণ কলকাতার সাংসদ মালা রায়, রাসবিহারী কেন্দ্রের বিধায়ক দেবাশিস কুমার সহ তৃণমূল শীর্ষ নেতাদের অনেকেই৷ সর্বোপরি উত্তরবঙ্গ থেকে ফোনে দলের নেতা কর্মীদের বার্তা দেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷
advertisement
বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি দলের নেতা কর্মীদের মনে করিয়ে দেন, আগামী এপ্রিল মাসের মধ্যেই রাজ্যে নির্বাচন শুরু হয়ে যাবে৷ ফলে দলাদলি, মনোমালিন্য ভুলে ভবানীপুর সহ প্রতিটি কেন্দ্রে কর্মীদের দলের কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ার পরামর্শ দেন তিনি৷ মুখ্যমন্ত্রী কোন কেন্দ্রে প্রার্থী হবেন তা উহ্য রেখেই দলের অন্যতম সিনিয়র নেতা বলেন, ‘সবারই দলে সবারই একটা দায়িত্ব আছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রার্থী ঠিক করবেন। তিনি যাকে প্রার্থী ঠিক করবেন অর্থাৎ যার হাতে দলের প্রতীক থাকবে তিনি আমাদের প্রার্থী। ফলে স্বাভাবিকভাবে আপনাদের কাছে অনুরোধ করব ঐক্যবদ্ধভাবে সবাই মিলে একসাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করে এই নির্বাচনে আমরা জয়যুক্ত করব। আমাদের যতটা ধারণা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রার্থী হতে চলেছেন। স্বাভাবিকভাবে আমরা বলব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে চতুর্থবারের জন্য জয়যুক্ত করে বাংলার মসনদে বসাতে হবে।’
সুব্রত বক্সির কথার রেশ ধরেই কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমও বলেন, ‘পাগল-ছাগল অনেকে আছে যারা বলতে থাকে আলিপুরে আমরা জিতব। বলতে থাকে ভবানীপুরে আমাদের তৃণমূলকে হারাবে। তাদের পাগল, ছাগল ছাড়া কিছুই বলা যায় না। কিন্তু ভবানীপুরের মানুষের গর্ব তাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভোট দেন। আমাদের মুখ্যমন্ত্রীকে ভোট দিই। সাধারণ মানুষ শেষ কথা বলবে। আমরা আগে থেকে জেনুইন ভোটারের তালিকা তৈরি করে রাখব। তারপর স্যাট, ম্যাট, এসআইআর- যাই খুশি করুন , জেনুইন ভোটারদের ভোট দিতে বাধা দিতে পারবেন না। সাধারণ মানুষের ভোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেতান। আমরা ১ লক্ষ ভোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেতাব।’
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এ দিন উত্তরবঙ্গ থেকে ফোনে মুখ্যমন্ত্রী নিজেও অভিযোগ করেন, ভবানীপুর কেন্দ্রে পরিকল্পনা করে বহিরাগতদের ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে৷ এসআইআর নিয়েও ভবানীপুরের নেতা, কর্মীদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন তৃণমূলনেত্রী৷