নবান্ন অভিযান নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, "বিজেপির লোক নেই। ওরা লম্বা করে এক লাইনে দাঁড়ালেও ওরা নবান্ন অবধি পৌঁছতে পারবে না। ওদের লোকই তো নেই৷ ভিন রাজ্য থেকে বাসে করে সমাজবিরোধীদের আনা হয়েছে। যাদের লোক নেই তাদের কেন বাধা দেব?" বাধা দিয়ে কি হবে।
advertisement
ফিরহাদ হাকিম আরও বলেন, "গার্ড রেল বিভিন্ন জায়গায় বসানো হয়েছে তার কারণ সুরক্ষা নির্দেশিকা। গণতন্ত্র আছে৷ আমাদের রাজ্যে নষ্ট হয়ে যায়নি। তাই বিরোধীরা প্রতিবাদ করতে পারে।" এরপরেই সুকান্ত মজুমদার, দিলীপ ঘোষকে কটাক্ষ করে মন্ত্রী বলেন, "সংবাদমাধ্যমের ট্যাগ লাইন দেখে সুকান্ত মজুমদার ডায়লগ দেন৷ সুকান্তর কোনও নিজের ডায়লগ নেই। দিলীপ ঘোষ মাথা গরম। তাই উল্টো পালটা মন্তব্য করে।"
উল্লেখ্য নবান্ন অভিযানে মঙ্গলবার তিন দিক থেকে বিজেপির মিছিল নবান্নের দিকে পৌঁছতে সচেষ্ট। মিছিলের শুরুতেই বাধার মুখে পড়েন শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপির নবান্ন অভিযানে অন্যতম সেনাপতির ভূমিকায় এদিন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সাঁতরাগাছি থেকে যে মিছিল করে নবান্ন অভিযানে আসবে বিজেপি কর্মীরা, তার নেতৃত্বে থাকার কথা শুভেন্দুর। কিন্তু মঙ্গলবার বেহালা থেকে সাঁতরাগাছির উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার পরই দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে ওঠার সময় আটকে দেওয়া হয় শুভেন্দুকে। আর এরপরই চরম ক্ষোভ দেখিয়ে গাড়ি থেকে নেমে পড়েন বিরোধী দলনেতা। শুরু হয় বাকবিতণ্ডা।
কলকাতার দিক থেকে দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে ওঠার মুখে যে ব্যারিকেড করে পুলিশ, সেটি ভাঙার চেষ্টা করেন বিরোধী দলনেতা। পুলিশের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ''এখনই হাইকোর্টে ফোন করব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হায় হায়। আমি বিরোধী দলনেতা, সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়কে আটকানো হচ্ছে। ভয় পেয়েছে মমতা, ক্ষেপে গেছে জনতা।'' এর কিছুক্ষণ পরেই শুভেন্দুকে আটক করে পুলিশ।