এদিন অবশ্য বিধানসভায় খিদিরপুরের আগুন নিয়ে বিবৃতি দেন মন্ত্রী সুজিত বসু। তিনি বলেন, দমকলের ভূমিকা নিয়ে কিছু মানুষ ইচ্ছাকৃত বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। দমকলের হেডকোয়ার্টারের কাছে প্রথম ফোন আসে রাত ২.০৫ মিনিটে। হেডকোয়ার্টার থেকে তিনটি গাড়ি যায়। পরে আরও ২০ টি গাড়ি পৌঁছায়। ফিরহাদ হাকিম রাত তিনটায় ফোন করেন ও ঘটনাস্থলে যান। “আমি সকাল ছ’টার মধ্যে পৌঁছে যাই। দমকলের ডাইরেক্টর ও ডেপুটি ডাইরেক্টর সহ পদস্থ আধিকারিক ঘটনাস্থলে পৌঁছান। ৭০০ জনের মতো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দমকলের দেরিতে পৌঁছানোর অভিযোগ বা জল ছিল না বলে যারা বলছেন, তারা ঠিক বলছেন না। এমনকি ডিজি ফায়ার নিজে উপস্থিত ছিলেন।”
advertisement
স্থানীয়দের অনেকের অভিযোগ ছিল,ফায়ার ব্রিগেডের গাড়িতে জল ছিল না। কাজ করেনি পাম্প। এই অভিযোগের উত্তরে মন্ত্রী জানান, “দমকলের গাড়িতে পর্যাপ্ত জল ছিল। আদি গঙ্গা থেকে জল তোলার সময়ে পলির কারণে কিছু টেকনিক্যাল সমস্যা হয় পাম্পে। কিন্তু তা দ্রুত সারিয়ে তোলা হয়।” এদিন মন্ত্রী বলেন, “গত ছয় বছর দফতরের মন্ত্রী থাকাকালীন আমি নিজে অন্তত ৮০ শতাংশ ক্ষেত্রে নিজে ঘটনাস্থলে থেকেছি।
রেল ভবনের আগুনে চারজন দমকল কর্মী মারা গিয়েছিলেন। দমকল কর্মীরাও সেনার মতো নিজেদের জীবন বাজি রেখে কাজ করেন। আমি অনুরোধ করব তাদের সম্পর্কে বলতে গেলে একটু ভেবে চিন্তে বলবেন।” এদিন খিদিরপুরে পোড়া বাজারের অংশ দেখতে যান বিরোধী দলনেতা। কথা বলেন ব্যবসায়ীদের সাথে। তাদের যে কোনও দরকারে পতাকা ছাড়া বিজেপির বিধায়করা সাহায্য করবে বলে জানান বিরোধী দলনেতা ।