অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় মঞ্চ থেকে বলেন, যে সব সহ-নাগরিকরা এসআইআর ঘোষণার পর প্রাণ হারিয়েছেন, তাঁদের পরিবার সদস্যরাও মিছিলে অংশগ্রহণ করেছেন। তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের নীতিকে বৈমাতৃসুলভ আচরণ হিসেবে কটাক্ষ করে জানান, রাজ্য সরকার বিএসএফকে জায়গা দেয়নি—তারপরও কেন্দ্র ‘অনুপ্রবেশ’ বলে অভিযোগ তুলে বাংলাকে অপদস্থ করছে। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান; ভোটার তালিকা প্রস্তুত ও গণনা ওটাই তাঁদের মূল দায়িত্ব, আর সেটির স্বচ্ছতা নষ্ট হলে গণতন্ত্রেই ক্ষতি হবে।
advertisement
২০০২ সালের ভোটার তালিকা দেখবেন কীভাবে? কয়েকটি সহজ ধাপেই মিলবে নিজের নাম
পথে নেমে প্রতিবাদ তৃণমূলের; ভোটাধিকার রক্ষার স্বার্থে মিছিল।
অভিষেক আরও বলেন, “২০২১-এ হেরেছে বিজেপি, ২০২৪-এও হেরেছে। তাই এখন হঠাৎ এসআইআর ঘোষণা করে মানুষের কাগজ চাইছে। যারা আমাদের নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলছে, তারা আগে নিজের বাবা-ঠাকুরদার কাগজ দেখাক। আমরা ভয় পাই না, ধমকে চমকে আমাদের থামানো যাবে না। প্রয়োজনে প্রাণ দিয়েও আমরা মানুষের অধিকারের জন্য লড়ব।”
অভিষেক আরও বলেন, দুই দিনের ব্যবধানে ডাকা এই কর্মসূচি যে মহামিছিলের রূপ নিয়েছে, তা সামনে সাক্ষ্য—দুই মাসের প্রস্তুতিতে দিল্লিতে আরও বড় আন্দোলন করা হবে বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। তিনি উল্লেখ করেন, গত কয়েক দিনে আত্মহত্যা করা ব্যক্তিদের নাম ভোটার তালিকায় রয়েছে এবং একটিও বৈধ ভোটার বাদ থাকলে তৃণমূল কেন্দ্র থেকে প্রতিবাদ করবে। তৃণমূলের দাবি অনুযায়ী, সচিত্র পরিচয়পত্র সংগ্রহের আন্দোলনের সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে মানুষের সঙ্গে কাজ করেছেন; তাই প্রয়োজন হলে আন্দোলন ফের জোরালো করা হবে।
পথে নেমে প্রতিবাদ তৃণমূলের; ভোটাধিকার রক্ষার স্বার্থে মিছিল।
অভিষেক বলেন, “আগামী দিনে তৃণমূল কংগ্রেস দিল্লী যাবে। বাংলার কি ক্ষমতা দিল্লী দেখবে!” অভিষেক আরও অভিযোগ করেন যে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা, ইনকাম ট্যাক্স ও অন্যান্য বাহিনী রাজনৈতিকভাবে কাজ করেছে এবং বাংলাকে অপমান করা হয়েছে; যারা টাকা আটকে রেখেছে তাদের প্রতিক্রিয়া দেখানো হবে। তিনি জানান, আগামী ২৬-এর লড়াই কেবল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুখ্যমন্ত্রী দাঁড় করানোর লড়াই নয়, এটি বিজেপিকে রাজনৈতিকভাবে শূন্য করার লড়াই হবে এবং রাজ্যবাসীর ক্ষমতা দিল্লিতে দেখিয়ে দেওয়া হবে — সেই সংগঠিত প্রস্তুতিই তৃণমূল ঘোষণা করেছে। তাঁর কথায়, “যারা বাংলাকে অপমান করেছে। যারা টাকা আটকে রেখেছে, ভেবেছে রিমোট কন্ট্রোলের মতো টাকা দেবে, আগামী ২৬ এর লড়াই শুধু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুখ্যমন্ত্রী করার লড়াই নয়, বিজেপিকে ০ করার লড়াই!”
