ভারতে এসেছেন দু’বার। ১৯৭৩ ও ১৯৮৩ সালে । জোট নিরপেক্ষ আন্দালনের নেতা কাস্ত্রোর সঙ্গে ইন্দিরা গান্ধির সখ্যতার সম্পর্ক। জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনে যৌথ নেতৃত্ব দেন দুজনেই। তবে কলকাতায় আসা একবারই। তাও মাত্র এক ঘণ্টার জন্য। কলকাতা বিমানবন্দর থেকে বাইরেও বেরোননি। সালটা ১৯৭৩ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর।
advertisement
কলকাতায় ফিদেল কাস্ত্রো----
----হ্যানোই থাকতে চিলির রাষ্ট্রপতির খুন হওয়ার খবর পান ফিদেল কাস্ত্রো
----আমেরিকার সাম্রাজ্যবাদের হাত থেকে মুক্তি পেতে ভিয়েতনামে তখন চলছে রক্তক্ষয়ী লড়াই
-----ফিদেল তাঁর সফর কাটছাঁট করে তড়িঘড়ি ফিরে আসেন কিউবায়
----পথে ১ ঘণ্টারও কম সময়ে কলকাতা বিমানবন্দরে থামে তাঁর বিমান
---দমদম বিমানবন্দরে ফিদেল কাস্ত্রোকে স্বাগত জানান মন্ত্রী তরুণকান্তি ঘোষ
--স্বাগত জানান জ্যোতি বসু, প্রমোদ দাশগুপ্ত,অশোক ঘোষ, মাখল পালের মত বিরোধী নেতারা
--বিভিন্ন মহিলা সংগঠন, সাংস্কৃতিক জগতের মানুষ ,সরকারি কর্মী, সাংবাদিক সকলে দেখা করতে চান বিপ্লবী নেতার সঙ্গে
---সবুজ সামরিক পোষাক ও সেই চির পরিচিত সিগার মুখে ফিদেল কাস্ত্রো নিরাশ করেননি কাউকে
সরকারি সফর নয়। তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধার্থ শংকর রায়েও তখন দিল্লিতে। ফিদেল বুঝিয়ে দেন কেন তিনি মিথ। বিমানবন্দরের পোর্টিকোয় তাঁর সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় তুলে ধরেন সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে কলকাতার মানুষের লড়াইয়ের ঐতিহ্যের কথা। ভিড় থেকে বর বার স্লোগান ওঠে-- ‘India-Cuba Solidarity, Long Live Fidel !’ সেই ভিড়ে মিশে থাকেন পরিচালক গৌতম ঘোষ, রুমা গুহঠাকুরতার মত সাংস্কৃতিক জগতের বহু মানুষ। ভারত বারবারই কিউবার বিপদে পাশে দাঁড়িয়েছে। সেই উদ্যোগে বারবারই সামিল হয়েছে কলকাতা।