#কলকাতা: ১লা ডিসেম্বর থেকে রাজ্যে চালু হচ্ছে ফাস্ট্যাগ। গোটা দেশের মতো, আমাদের রাজ্যে জাতীয় সড়কের টোল প্লাজাতে চালু হচ্ছে এই বিশেষ পদ্ধতি। ধাপে ধাপে টোল আদায়ের সমস্ত পরিষেবা ক্যাশলেস করতে চায়, কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন মন্ত্রক। এর আগে ফাস্ট্যাগ পদ্ধতি চালু হলেও, তা সকলে ব্যবহার করতেন না। এবার এই পদ্ধতি বাধ্যতামূলক করতে চায় কেন্দ্র। সে দিকেই ধাপে ধাপে এগোচ্ছে গোটা পদ্ধতিটি।
advertisement
কী এই ফাস্ট্যাগ?
এটা এক ধরনের ডিজিটাল ট্যাগ বা স্টিকার। যা রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি আইন্ডেটিফিকেশন পদ্ধতিতে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। গাড়ির সামনের কাঁচের ওপরে থাকবে এই বিশেষ স্টিকার। টোল আদায় কেন্দ্রগুলিতে থাকবে বিশেষ লেন। সেখান দিয়ে গাড়ি যাতায়াতের সময়, ডিজিটাল পদ্ধতিতে টোল আদায় হয়ে যাবে। সময় নষ্ট করে আর টোল প্লাজায় দাঁড়াতে হবেনা। ফলে যাত্রা পথে অনেকটা সময় কমবে বলে জানাচ্ছেন সড়ক পরিবহন মন্ত্রকের আধিকারিকরা।
তবে গোটা দেশে এই পদ্ধতি চালু হলেও, আমাদের রাজ্যে ফাস্ট্যাগ ব্যবহারকারীর সংখ্যা গাড়ি ব্যবহারকারীদের মাত্র ২৫%। বিভিন্ন টোল প্লাজায় ক্যাম্প করা হচ্ছে, এছাড়া ২৩টি ব্যাংক থেকে এই ডিজিটাল স্টিকার পাওয়া যাবে বলে জানাচ্ছেন এন এইচ এ আইয়ের সিজিএম আর পি সিং।
ফাস্ট্যাগ ব্যবহারকারীদের জন্য থাকছে মাই ফাস্ট্যাগ বলে একটি মোবাইল আপ। সেখান থেকেও রিচার্জ করে নেওয়া যাবে স্টিকারটি। মাত্র ১০০ টাকা দিলেই মিলবে এই ব্যবস্থা। এছাড়া সিকিউরিটি ডিপোজিট বাবদ দিতে হবে ২০০ টাকা। এরপর ব্যবহারকারী নিজের ইচ্ছেমতো রিচার্জ করিয়ে নিতে পারবেন। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে লিংক করিয়ে নিলে সেখান থেকেই ফাস্ট্যাগ রিচার্জ হতে থাকবে।
আপাতত জাতীয় সড়কের ওপরে থাকা সব টোল প্লাজাতেই থাকছে বিশেষ লেন। যা ন্যাশনাল ইলেকট্রনিক টোল কালেকশন লেন হিসেবে থাকবে। যারা এখনও ফাস্ট্যাগ হাতে পাননি, তাদের জন্য ১লা ডিসেম্বর থেকে থাকছে বিশেষ লেন। সেখানে ক্যাশ দিয়েই যাতায়াত করা যাবে। তবে যারা ফাস্ট্যাগ ব্যবহার করবেন না, তারা যদি ফাস্ট্যাগ লেনে ঢুকে যায় তাহলে তাদের দিতে হবে দ্বিগুণ টোল।
'আমরা অবশ্য টোলের ২০০-২৫০ মিটার আগে কিছু লোক রেখে দেব। যারা গাড়িচালকদের লেনের ব্যপারে জানিয়ে দেবেন। যদি কেউ ভুল করে ওই ফাস্ট্যাগ লেনে ঢুকে পড়েন তাহলে তাকে দ্বিগুণ টোল দিতে হবে,' বলে জানাচ্ছেন আর পি সিং।
ফাস্ট্যাগ ব্যবহার যারা করবেন না তাদের জন্য মাত্র একটি লেন থাকলে যানজট বাড়বে বলে ইতিমধ্যেই এন এইচ এ আই কে জানিয়েছে রাজ্য পরিবহন দফতর। পরিবহন মন্ত্রী বৈঠক করেছেন টোল প্লাজার আধিকারিকদের সাথে। সমস্যা মেটাতে টোল প্লাজায় থাকবে পুলিশ। তবে এই ডিজিটাল পদ্ধতি চালু হয়ে গেলে টোল প্লাজায় কর্মী ছাঁটাইয়ের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। তবে এই অভিযোগ মানতে নারাজ জাতীয় সড়কের আধিকারিকরা।