কলকাতার তালতলায় বেসরকারি নমুনা পরীক্ষা কেন্দ্র সায়েন্টিফিক ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরির এগ্জিকিউটিভ ডিরেক্টর ছিলেন সুবীর দত্ত। প্রসিদ্ধ ওই প্যাথলজিস্টকে হারিয়ে শোকে মূহ্যমান রাজ্যের চিকিৎসক মহল। এক সময় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে মেডিসিন বিভাগের ডিনও ছিলেন সুবীর বাবু। জাতীয় স্তরেও নানা ধরনের স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি।
অপরদিকে, করোনা আক্রান্ত আরও এক চিকিত্সকের মৃত্যু হয়েছে অ্যাপোলো হাসপাতালে। উত্পল সেনগুপ্ত নামে ওই চিকিত্সক বারাসাত হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন বলে খবর। দিন কয়েক আগেই মৃত্যু হয়েছিল আরও দুই ডাক্তার বাবুর। ওই দুজন হলেন বিশিষ্ট ক্যানসার রোগ বিশেষজ্ঞ জি এস ভট্টাচার্য ও আসানসোল জেলা হাসপাতালের ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটের প্রধান অলোক মুখোপাধ্যায়।
advertisement
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের পর থেকেই ভাইরাস আক্রান্ত হয়ে রাজ্যে চিকিৎসকদের মৃত্যু হয়েই চলেছে। এই মৃত্যুমিছিলের অবশ্য শুরুটা হয়েছিল ২০২০ সাল থেকেই। করোনা আক্রান্ত হয়ে দিনকয়েক আগেই মৃত্যু হয়েছে ৮৪ বছরের প্রবীণ চিকিৎসক ডা. প্রশান্ত মুখোপাধ্যায়ের। হাওড়ার এই প্রবীণ স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞও হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। তারও দিন কয়েক আগে কোভিড কেড়ে নেয় চিকিৎসক অনুপ মুখোপাধ্যায়ের। তিনি গত জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারি মাসে কোভিশিল্ডের (Covisheild) দুটি ডোজ নিয়েছিলেন। কিন্তু তাতেও লাভ হয়নি। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। রাজ্যের একের পর এক ডাক্তার বাবুর এভাবে চলে যাওয়ায় স্বাস্থ্য পরিষেবার ক্ষেত্রে যে শূন্যস্থান তৈরি হচ্ছে, তা অপূরণীয় বলেই মত অনেকের।