হঠাৎ করে নিখোঁজ পনেরো বছরের ছেলে। গত রবিবার থেকে দুশ্চিন্তায় ছিলেন সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের এই বাড়ির সদস্যরা। সাত দিনের মাথায় পটনা থেকে উদ্ধার ছাত্র। গ্রেফতার ২। জেরায় উঠে এল, অপহরণের নাটকে যুক্ত নবম শ্রেণির ছাত্রও।
- ১৪ এপ্রিল বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ ছাত্র
- জোড়সাঁকো থানায় নিখোঁজ ডায়েরি (করে) পরিবার
- ১৫ এপ্রিল ছাত্রের মাকে ফোন করে অপহরণকারীরা
advertisement
- ৩০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি
এরপরেই পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয় ৷ জোড়াসাঁকো থানার সঙ্গে অপহরণের তদন্তে নামে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। এরমধ্যেই একাধিক নম্বর থেকে ছাত্রের বাবার কাছে অপহরণকারীদের ফোন আসতে থাকে।
- বিহার থেকে ফোন করছিল অপহরণকারীরা
- মোবাইল টাওয়ার থেকে নিশ্চিত হন গোয়েন্দারা
- ১৫ লক্ষ টাকা দিতে রাজি হয় পরিবার
- ৩টি ট্রেন পালটে বিহারের ঝাঝায় আসতে নির্দেশ (দেয় অপহরণকারীরা)
শনিবার ছাত্রের বাবাকে নিয়ে বিহারের উদ্দেশে রওনা হয় পুলিশ। নির্দেশ মতো রেল লাইনের ধারে টাকার ব্যাগ ফেলে আশেপাশেই অপেক্ষা করতে থাকেন সাদা পোশাকের পুলিশ আধিকারিকরা। এরপরই হাতেনাতে পাকরাও ছাত্রের মামা ও তাঁর বন্ধু। পটনা থেকে উদ্ধার করা হয় ছাত্রকে। জেরায় পুলিশ জানতে পেরেছে, অপহরণের নাটকে পনেরো বছরের ছাত্রও যুক্ত। পাড়ায় চঞ্চল স্বভাবের ছেলে বলেই পরিচিত। তবে ছোট বয়সে বড় হওয়ার স্বপ্নে অপহরণের নাটক! অবাক প্রতিবেশীরা।