TRENDING:

ভুয়ো ভোটার কাণ্ডে নজরে এবার ডেটা এন্ট্রি অপারেটরদের নিয়োগকর্তারা, জেলাশাসকদের থেকে ৫ বছরের তথ্য চাইল নির্বাচন কমিশন

Last Updated:

একইসঙ্গে নন্দকুমার ও রাজারহাট-গোপালপুর বিধানসভা কেন্দ্রের ইআরও-র বিরুদ্ধে এই তদন্ত রিপোর্ট নির্বাচন কমিশনের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর। কমিশনই তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। 

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতা: ভোটার তালিকায় ‘ভুতূড়ে’ নাম নিয়ে রাজ্য মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর সরাসরি ইআরও-দের গাফিলতিকেই দায়ী করছেন। একইসঙ্গে নন্দকুমার ও রাজারহাট-গোপালপুর বিধানসভা কেন্দ্রের ইআরও-র বিরুদ্ধে এই তদন্ত রিপোর্ট নির্বাচন কমিশনের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর। কমিশনই তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।
ভুয়ো ভোটার কাণ্ডে নজরে এবার ডেটা এন্ট্রি অপারেটরদের নিয়োগকর্তারা (Representative Image)
ভুয়ো ভোটার কাণ্ডে নজরে এবার ডেটা এন্ট্রি অপারেটরদের নিয়োগকর্তারা (Representative Image)
advertisement

পাশাপাশি বিধানসভা কেন্দ্রগুলি ইআরও অফিসে গত পাঁচ বছর ধরে চুক্তির ভিত্তিতে কর্মরত ডেটা এন্ট্রি অপারেটার কোনও এজেন্সি সরবরাহ করেন, তার বিস্তারিত তথ্য জেলাশাসক বা জেলা নির্বাচনী আধিকারিকদের কাছে দ্রুত রিপোর্ট চাইল রাজ্য মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর। আগামী শুক্রবারের মধ্যেই এই রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। চারটি বিধানসভা কেন্দ্র ময়না, রাজারহাট, নন্দকুমার ও রাজারহাট-গোপালপুরে ভোটার তালিকায় ভুতূড়ে নাম নিয়ে তদন্তে দেখা গিয়েছে, ইআরও অফিসে ডেটা এন্ট্রি অপারেটার-সহ কিছু কর্মী সরাসরি যুক্ত। এদের একটা বড় অংশই অস্থায়ী কর্মী। যা এজেন্সির মাধ্যমে নিয়োগ করা হয়েছে।

advertisement

আরও পড়ুন– বাংলা দখলের শেষ সুযোগ ২৬ ! কী টোটকা দিলেন অমিত শাহ বঙ্গ নেতাদের?

জেলা নির্বাচনী আধিকারিকদের বলা হয়েছে, শুধু এজেন্সির নাম বা সংখ্যাই নয়, রিপোর্টে পরিষ্কার করে জানাতে হবে কোন বিধানসভা কেন্দ্রে কত ডেটা এন্ট্রি অপারেটার এইসব এজেন্সির মাধ্যমে নিয়োগ করা হয়েছে। এছাড়াও এজেন্সির মাধ্যমে আর কোনও অস্থায়ী কর্মী ভোটের কাজের জন্য নিয়োগ করেছে কী না। তাদের সর্ম্পকে বিস্তারিত তথ্য দিতে হবে রিপোর্টে।

advertisement

রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর মনে করছে, ভুতূড়ে ভোটারের উৎস্যস্থল এই ডেটা এন্ট্রি অপারেটার বা অস্থায়ী কর্মীরা। কারণ ভোটার তালিকায় কার নাম বাদ যাবে, নতুন নাম ওটার ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নেওয়া ক্ষমতা একমাত্র ইআরও’কে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। চারটি বিধানসভা কেন্দ্র ময়না, রাজারহাট, নন্দকুমার ও রাজারহাট-গোপালপুরে ভোটার তালিকায় ভুতূড়ে নাম নিয়ে তদন্তে ইআরওদের গাফলতি প্রমানিত হয়েছে। তদন্তে প্রতিটি ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, নির্বাচন কমিশনের পোর্টালে গিয়ে নাম তোলা বা কারও নাম বাদ দেওয়ার জন্য ইআরওকে দেওয়া লগ ইন আইডি অফিসের ডেটা এন্ট্রি অপারেটার-সহ অন্যান্য কর্মীদের কাছে দেওয়া ছিল। যা সম্পূর্ণ বেআইনি। একজন সিনিয়র আধিকারিক হয়ে কেন এটা করলেন তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। ভোটার তালিকা সংক্রান্ত কাজটাই তিনি গুরুত্ব দেননি বলে প্রমানিত হয়। এই লগ ইন আইডি ব্যবহারের সময় ইআরওর রেজিস্ট্রাড মোবাইলে ওটিপি আসে। কোনও কিছু খতিয়ে না দেখে ইআরও সেই ওটিপি সহকর্মীদের দিয়ে দিতেন।

advertisement

আরও পড়ুন– টিম ইন্ডিয়ার ইংল্যান্ড সফর শেষ, ভারতের পরবর্তী সিরিজ কবে এবং কোন দলের বিরুদ্ধে, জেনে নিন এক ক্লিকে সম্পূর্ণ সময়সূচি

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
পুরীর রথ এবার রঘুনাথপুরে, থিমে মন কাড়ছে আপার বেনিয়াসোলের দুর্গাপুজো মণ্ডপ
আরও দেখুন

অফিসের কর্মীদের ওপর অন্ধ নির্ভরতা থেকেই তাঁরা এটি করেছেন। তারই সুযোগ নিয়ে এক শ্রেণীর কর্মী ইআরওকে অন্ধকারে রেখে ভুতূরে নাম তুলেছে ভোটার তালিকায়। বাদও দিয়েছে। এর জন্য ভুতূড়ে নামের সঙ্গে দেওয়া নথি পরীক্ষা করা হয়নি। বিএলওদের দিয়ে যাচাই করা হয়নি। রাজ্য মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর এই চার বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটার তালিকায় ঠাঁই পাওয়া নতুন নামের নমুনা পরীক্ষা করতে গিয়ে ২১২ নাম পেয়েছে। যা খুবই সন্দেহজনক। সেক্ষেত্রে গত পাঁচ বছরে তথ্য চাওয়া যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
ভুয়ো ভোটার কাণ্ডে নজরে এবার ডেটা এন্ট্রি অপারেটরদের নিয়োগকর্তারা, জেলাশাসকদের থেকে ৫ বছরের তথ্য চাইল নির্বাচন কমিশন
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল