ভেজাল মশলা প্রস্তুতের মূল পাণ্ডা এই উত্তম। উত্তম দেব শেখাচ্ছিলেন, কীভাবে মশলার ব্যবসা শুরু করতে হবে।হলুদের সঙ্গে চালের গুঁড়ো মিশিয়ে রং ও ট্যালকম পাউডার মিশিয়ে ৬০ টাকা কেজি দরে হলুদ গুঁড়ো তৈরি হয়ে যাবে। তবে কমপক্ষে দুশো কেজির বরাত দিতে হবে।লঙ্কা গুঁড়ো ৯০ টাকা কেজি দরে প্রস্তুত করে দেবে।ফটকা লঙ্কা নামে এক ধরনের সাদাটে নিম্ন মানের শুকনো লঙ্কা পাওয়া যায়। সেই লঙ্কা গুঁড়ো করে, তার সঙ্গে ব্রিক পাউডার, লাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল রং ও এক ধরনের কেমিক্যাল মেশালেই তরকারি টকটকে লাল এবং দারুণ ঝাল হবে।
advertisement
আরও পড়ুন: বাংলার বাজারে পদ্মার ইলিশ! কলকাতা-হাওড়া, কোন বাজারে কেমন দাম? দেখুন ভিডিও
উনি শিখিয়ে দিলেন প্রথমত, হোটেলগুলির থেকে বরাত নিতে হবে। যাঁরা মশলা অনেক কম দামে কেনেন, তার পর বাজারের দোকান গুলি ধরতে বলেন।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক প্রশান্ত বিশ্বাসের কথায়, 'এই অখাদ্য জিনিসগুলি সাধারণ মানুষকে খাওয়ানো হচ্ছে। ইন্ডাস্ট্রিয়াল রংয়ে কারসিনোজেন আছে। যা ক্যান্সারের কারণ। বিশেষত মশলার যা মেডিসিন্যাল গুণ রয়েছে তার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। এই মশলা চরম ক্ষতি করছে মানুষের। বিশেষত শিশুদের।'
খা গেল টনকে টন গুঁড়ো মশলা ওখান থেকে পৌঁছে যাচ্ছে বড়বাজারের পাইকারি দোকান গুলিতে। কলকাতা পুলিশের এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের দু' এক জন কর্মীর নামও বললেন ভেজাল মশলার কারবারি উত্তম। এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের ওই আধিকারিকরা নাকি মশলা পরীক্ষা করতে যান।
কার্যত প্রকাশ্যে কীভাবে দিনের পর দিন এই ভেজাল মশলার কারবার চলছে? সেই প্রশ্নই সামনে আসছে৷ ভেজাল মশলার এই কারবারের ঘটনা আগেও প্রকাশ্যে এসেছে, তার পরেও রমরমিয়েই চলছে ব্যবসা৷
পোস্তা এলাকায় গেলে দেখা যায় বিভিন্ন দোকানে দু- তিন ধরনের হলুদ লঙ্কাগুঁড়ো রয়েছে। তাদেরকে এই ভেজাল হলুদ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে ব্যবসায়ীরা বলেন, 'এই ভাবে না হলে,আমরা দোকানদাররা মারা যাব।' তাহলে মানুষের খাদ্য সুরক্ষা কোথায়?