শুক্রবার সকাল থেকেই ধৃত পবন ঝুনঝুনওয়ালা এবং রিনেশ সারোগিকে দফায় দফায় জেরা চলে। মেলে একাধিক তথ্য।মিডলম্যানরাই সংস্থার হয়ে যোগাযোগ রাখত ছাপাখানার সঙ্গে।বেআইনি পথে মুনাফার জন্যই এই ছক।তদন্তের স্বার্থে ওই সংস্থা দুটির নাম জানায়নি পুলিশ।
এদিনই ধৃতদের পেশ করা হয় আদালতে। মের্ট্রোপলিটান ম্যাজিস্ট্রেট গৌতম নস্কর ১৮ তারিখ পর্যন্ত তাদের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।২২ তারিখ পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানানো হয়েছিল।অভিযুক্তদের আইনজীবী ১৪ তারিখ ফের শুনানির আবেদন জানান।সেই আবেদন নাকচ করেন আইনজীবী।
advertisement
কলকাতায় মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ কারবারের খোঁজ মিলেছে বৃহস্পতিবার। জাল চক্রে ধৃত দু’জনকে জেরা করে অনেক তথ্য মিলেছে। চক্রে অনেক বড় মাথা থাকতে পারে বলে প্রাথমিক অনুমান তদন্তকারীদের।সেই মতো তদন্তের পরিকল্পনা পুলিশের।
তদন্তকারী আধিকারিকরা জানিয়েছে, টাকা বিনিময় মেয়াদ শেষে ওষুধের প্যাকেটে নতুন তারিখ বসানোর অভিযোগ রয়েছে ধৃতদের বিরুদ্ধে ৷ এরপর ওই ওষুধের স্ট্রিপগুলি রিপ্রিন্ট করে বাজারে বিক্রি করত ধৃতরা। দুই ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থার কর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করবে পুলিশ ৷ ঘটনায় বেশ কয়েকজন ডিস্ট্রিবিউটরও জড়িত রয়েছে বলে অনুমান পুলিশের ৷
ঘটনার তদন্ত নেমে ক্যানিং স্ট্রিটে কারখানার মালিক পবন ঝুনঝুনওয়ালাকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই খোঁজ মেলে রিনেসের ৷ বেলুড়ের জিটি রোড থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে রিনেসকে ৷ রাজ্যের ড্রাগ কন্ট্রোলারের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে এই চক্রের হদিশ পেয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ ৷ ক্যানিং স্ট্রিটের কারখানায় হানা দিয়ে উদ্ধার করেছে মেয়াদ উত্তীর্ণ জীবনদায়ী ইঞ্জেকশনের ৷ একাধিক অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধও বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ ৷