প্রসঙ্গত এই ওষুধের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান ট্যামসুলোসিন প্রস্রাবের গতিবেগ নিয়ন্ত্রণ করে৷ আরও একটি উপাদান ডুটাস্টেরাইড সাহায্য করে প্রস্টেট গ্ল্যান্ডকে স্বাভাবিক রাখতে৷ কিন্তু রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোলের পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে এই দুই গুরুত্বপূর্ণ উপাদানই নেই ওষুধের মধ্যে৷ কেন্দ্রীয় ড্রাগ কন্ট্রোলকে রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোলের তরফে জানানো হয়েছে যে এই ওষুধের নির্দিষ্ট ব্যাচ নম্বর সম্পূর্ণ জাল৷
advertisement
এর আগে এপ্রিল মাসে ‘গ্লেনমার্ক ফার্মাসিউটিক্যালস’-এর তৈরি করা ওষুধ, যার ব্যাচ নম্বর 5240367, তা সম্পূর্ণ জাল বলে চিহ্নিত হয়েছে। Telma -40 – হাই ব্লাড প্রেশার এবং হার্ট ফেলিওরের ওষুধ। এটিও গ্লেনমার্ক ফার্মাসিউটিক্যালের তৈরি করা। এই ওষুধটি আদৌ আসল সংস্থা তৈরি করেনি। অসৎ উদ্দেশ্যে বাজারে আনা হয়েছিল বলে অভিযোগ করা হয়েছে কেন্দ্রীয় ড্রাগ কন্ট্রোলের তরফ থেকে।এটি হাই ডায়াবেটিক রোগীদের যাদের উচ্চ রক্তচাপ আছে, তাদের জন্য প্রেসক্রাইব করা হয়। বুকে ব্যথা হলেও ব্যবহার করা হয়।
কেন্দ্রীয় ড্রাগ কন্ট্রোলের সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন বা সি ডি এস সি ও এই পরীক্ষা করে। বিভিন্ন রাজ্যের ড্রাগ কন্ট্রোলের পরীক্ষায় পাস করতে পারেনি বহু ওষুধ। এ বছরের জানুয়ারি মাসে এই ওষুধগুলোকে ‘নট অফ স্ট্যান্ডার্ড কোয়ালিটি’ (NSQ) বা সঠিক গুণমানের নয় বলে চিহ্নিত করা হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। তার মধ্যে রয়েছে বহুল ব্যবহৃত কিছু ওষুধ।
মে মাসে জাল ওষুধ ঠেকাতে এবার বড় পদক্ষেপ করে রাজ্য সরকার। হোলসেলার ও বিক্রেতাদের জন্য জারি করা হয় একটি বিশেষ বিজ্ঞপ্তি। ৬ দফা নির্দেশিকা সম্বলিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে হোলসেলারদের এটি নিশ্চিত করতে হবে যে, যে ওষুধগুলি তাঁরা কিনছেন সেগুলি নির্দিষ্ট চ্যানেল মারফত এবং বৈধ সংস্থার থেকে। শুধু তাই নয়, নির্দেশিকায় বলা হয়েছে হোলসেলাররা যাদের থেকে ওষুধ নিচ্ছেন তাদের লাইসেন্স কতদিন পর্যন্ত বৈধতা রয়েছে তা অবশ্যই চেক করতে হবে হোলসেলারদের। রাজ্যের বাইরে যে সংস্থার থেকে ওষুধ কিনবেন হোলসেলাররা অবশ্যই সেইসব সংস্থার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ডিটেইলস চেক করতে হবে তাঁদের। একইসঙ্গে এই নির্দেশিকায় বলা চলেছে, হোলসেলাররা অবশ্যই জিএসটি নম্বর এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থা জিএসটির ক্রেডিট নিচ্ছে নাকি সেটাও খতিয়ে দেখবেন।