পূর্ব নির্ধারিত ঘোষণা অনুযায়ী শুক্রবার বিজেপি নেতা সব্যসাচী দত্ত বাড়ি বাড়ি প্রচার করবার জন্য উপস্থিত হন কসবার ১০৭ নম্বর ওয়ার্ডের সিইএসসি ক্যাশ কাউন্টারের সামনে। ঘড়ির কাঁটায় তখন সকাল ১০:৪০ মিনিট। সর্বসাকুল্যে কুড়ি থেকে পঁচিশ জন বিজেপি কর্মী সেখানে উপস্থিত হন। আগে থেকে কোনও পরিকল্পনা সাজানো ছিল না। ফলে, সবকিছু জানার পর, পোড় খাওয়া নেতা সব্যসাচী দত্ত সবাইকে নিয়ে এক জায়গায় বসে, ওয়ার্ড সংক্রান্ত খোঁজখবর নেন এবং রাজনৈতিক কৌশল বোঝান। তারপর বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ কসবার পূর্বপাড়া এলাকাতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে এনআরসি ও সিএএ নিয়ে বোঝাতে যান।
advertisement
প্রচার করতে করতেই পূর্বপাড়া খালপাড়ের কাছে মামনি নস্কর ও শিবু নস্করের বাড়ির সামনে সমর্থকদের নিয়ে উপস্থিত হন সব্যসাচী দত্ত। এনআরসি ও সিএএ নিয়ে কিছু বোঝানোর আগেই সব্যসাচীবাবুর দল থেকে দু' জন বলে ওঠেন , মামনিরা বেল গাছ কাটা নিয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন। সঙ্গে সঙ্গে মামনি এবং শিবু তার প্রতিবাদ করেন। দু' পক্ষে শুরু হয় বচসা। বচসা এড়ানোর জন্য কোনওভাবে বুঝিয়ে সুজিয়ে সব্যসাচী বাবু দলবল নিয়ে সেখান থেকে ফিরে আসেন। কিছুক্ষণ পরে রাজডাঙ্গা সিইএসসি কাউন্টারের সামনে উপস্থিত হন শিবু, শিবুর দাদা এবং মামনি। দুই বিজেপি সমর্থকের খোঁজ করতে থাকেন তাঁরা। বেগতিক দেখে ততক্ষণে পালিয়ে যান বিজেপি কর্মীরা। সঙ্গে সঙ্গে উপস্থিত হন স্থানীয় কাউন্সিলর সুশান্ত কুমার ঘোষ। সরাসরি সব্যসাচী বাবুর সঙ্গে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন তিনি।
একা সব্যসাচী দত্ত নিজস্ব দেহরক্ষী নিয়ে রাস্তার পাশে চেয়ার পেতে বসে পড়েন। অন্যদিকে সুশান্ত ঘোষ পাঁচশো থেকে ছ' শো দলীয় কর্মীকে নিয়ে জমায়েত করে ফেলেন। খবর পেয়ে ছুটে আসেন কসবা থানার আধিকারিকরা।সঙ্গে বিশাল পুলিশ বাহিনী। পুলিশের মধ্যস্থতায় বড় ধরনের অশান্তি এড়ানো সম্ভব হয়।
SHANKU SANTRA