খোদ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় কথা প্রসঙ্গে কিছুটা হালকা মেজাজে মজার ছলে হাঁসলেন। বিচারপতি জানালেন, "আমি তো শুনলাম আমার ছবি নিয়ে লোকে জিজ্ঞাসা করছে, এই জজ কোথায় বসেন?"
আসলে এই মন্তব্য করার আগে বিচারপতির উদ্দেশ্যে হালকা মেজাজে ঠাট্টাছলে ডঃ শান্তি প্রসাদ সিনহার আইনজীবী বিশ্বরূপ ভট্টাচার্য বলে বসেন, ''সবাই চাইছে সব মামলা আপনার এজলাসে হোক। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তা বা টেন্ডার সে যে মামলাই হোক না।" মামলাকারী অনিন্দিতা বেরার আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য তখন জানান,"এটা অত্যন্ত দুঃখের বিষয় যে বিচারপতির বিরুদ্ধেও বিক্ষোভ দেখানো হচ্ছে। বিচারপতি হওয়ার আগে কার সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ ছিল সেই সূত্র টেনে এনে বিক্ষোভ দেখানো হচ্ছে। তবে বিচারপতি সম্পর্কে আমজনতার এমন ধারণা বিচার ব্যবস্থার জন্য সদর্থক একটা দিক।"
advertisement
আরও পড়ুন : একটু পরেই দক্ষিণবঙ্গের তিন জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝেঁপে ঝড়বৃষ্টি নামবে
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ই বলেন, "এসএসসি দুর্নীতি মামলায়, দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমি যুদ্ধ ঘোষণা করেছি।" তাঁর কথায় অবৈধ নিয়োগ খুঁজে বের করতে তিনি একাই যথেষ্ট। আবার এসএলএসটি নবম-দশম শ্রেনীর শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিতে গিয়ে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় লিখেছেন, রাজনীতির আওতায় থাকাদের ভূমিকাও খতিয়ে দেখবে সিবিআই। লক্ষ্মী টুংগা করা গ্রুপ ডি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বিচারপতির নির্দেশ দেন, সিবিআই হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করবে নজরদারি কমিটির ২ সদস্যকে।
আইনজীবী ফিরদৌস শামিম জানান, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় মানুষের মনে বিচার ব্যবস্থার ওপর আস্থা অটুট রাখতে সহায়ক ভূমিকা নিয়েছেন। আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত জানান, বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীদের কথা যেভাবে বিচারপতি এজলাসে বলেছেন তাতে আশার আলো দেখছেন অনেকেই। এসএলএসটি নবম-দশম নিয়োগ দুর্নীতি রহস্যভেদে সিবিআই এফআইআর দায়েরের রিপোর্ট পেশ হয় এদিন এজলাসে। মামলাকারীরা এখনও পর্যন্ত ২৭ জনের নাম দিয়েছে যারা সহকারী শিক্ষক হিসেবে বেআইনিভাবে নিযুক্ত হয়েছিলেন। সিবিআই এই বিষয়ে তদন্ত করবে। নির্দেশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের।