আরও পড়ুন: ঝাড়খণ্ড থেকে বাংলায় ঢুকছে বস্তাভর্তি কয়লা! ২০০ টাকায় কিনে বিকোচ্ছে কত টাকায়?
নজিরবিহীন এই মামলায় আজ এস এস কে এমের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শ চাইল হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। আগামী বুধবারের মধ্যে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের বোর্ড গঠন করে রিপোর্ট দিতে হবে (High Court On Abortion)। তারপরই গর্ভপাতের সিদ্ধান্ত নেবে হাইকোর্ট।
advertisement
উত্তর কলকাতার বাসিন্দা পুরবী চৌধুরী (পরিবর্তিত নাম)। বিবাহের পর থেকেই শারীরিক সমস্যায় সন্তান হয়নি তাঁর। অবশেষে অনেক চিকিৎসার পর তিনি গর্ভবতী হন। কিন্তু সন্তান গর্ভধারণের পর থেকেই শুরু হয় ফের সমস্যা। সময় যত বাড়তে থাকে সমস্যাও তত বাড়তে থাকে। বর্তমানে পূরবী দেবী ৩৪ সপ্তাহের গর্ভবতী। বহু বেসরকারি হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছে।চিকিৎসকরা জানিয়েছেন পূরবী দেবীর শারীরিক অবস্থা আরও অবনতি হতে পারে, যদি না এই মুহূর্তে তার গর্ভপাত করানো হয়। তাই গর্ভপাতের আবেদন নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন পূরবী দেবীর বাড়ির সদস্যরা।
কী বলছে গর্ভপাত আইনঃ
১৯৭১ সালের গর্ভপাত আইন ও ২০২১ সালের গর্ভপাত সংশোধনী আইন মতে, ২৪ সপ্তাহের বেশি ভ্রুণের বয়স হলে গর্ভপাত করানো যাবে না। ২৪ সপ্তাহের ওপরে হলে গর্ভবতী মহিলার স্বাস্থ্যের কথা বিচার করে, গর্ভপাতের অনুমোদন দেওয়া যেতে পারে (High Court On Abortion)। তবে সেক্ষেত্রে আদালতের অনুমতি প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: এসএসসি গ্রুপ ডি রায়ের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্য! চাকরি থাকবে ৫৭৩ জনের?
তাই অনুমতির প্রয়োজনই পূরবীদেবীর বাড়ির লোক হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। শুক্রবার শুনানিতে (Calcutta High Court), সরকারি আইনজীবী অমিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ২৮ সপ্তাহ অব্দি অনুমোদন দেওয়া যায়। কিন্তু এখানে ৩৪ সপ্তাহ। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশ, এস এস কে এম হাসপাতালকে অবিলম্বে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে বোর্ড গঠন করতে হবে। ওই বোর্ড গর্ভবতী পূরবী দেবীর সমস্ত শারীরিক অবস্থা খতিয়ে দেখবে। পাশাপাশি তাঁর মেডিকেল রিপোর্ট খতিয়ে দেখতে হবে। তারপরেই বোর্ডকে সিদ্ধান্ত দিতে হবে পূরবী দেবীর গর্ভপাত করানো সম্ভব কি না। আগামী বুধবারের মধ্যে এই রিপোর্ট হাইকোর্টে পেশ করতে হবে। বিশেষজ্ঞদের রিপোর্ট খতিয়ে দেখার পর আদালত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে গর্ভপাত করানো হবে কি হবে না।
বিশেষ প্রতিবেদন : অর্ণব হাজরা