সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই একাধিক প্রাক্তন উপাচার্যের তরফে আচার্যের কাছে মানহানির অভিযোগে আইনি নোটিস পৌঁছেছে৷ উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য ওম প্রকাশ মিশ্র বলেন, “উনি যে তিন কারণের কথা উল্লেখ করেছেন, এতে প্রাক্তন উপাচার্যদের মানহানি হয়েছে। তার জন্যই আমরা আইনি নোটিস পাঠিয়েছি। ১৫ দিনের মধ্যে নিঃশর্তে ক্ষমা চাইতে হবে আচার্যকে। না হলে আমরা মানহানির মামলা করব।”
advertisement
আরও পড়ুন: কুন্তল চিঠি মামলায় তদন্ত করতে পারবে না পুলিশ! হাইকোর্টে বড় জয় পেল সিবিআই
পাশাপাশি, ৫০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণেরও দাবি করা হয়েছে ওই আইনি নোটিসে। যদিও এর পরিপ্রেক্ষিতে রাজভবনের তরফে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। ওম প্রকাশ মিশ্রের দাবি, “এখন রাজভবন থেকে কোনও ফোন গেলে কেউ ধরতে চাইছেন না। কারণ, কেউ উপাচার্যের দায়িত্ব নিতে চাইছেন না।”
প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে অন্তর্বর্তিকালীন উপাচার্য নিয়োগের প্রেক্ষিতে একটি ভিডিও বার্তা দিয়েছিলেন রাজ্যপাল। সেই ভিডিও বার্তায় প্রাক্তন উপাচার্যদের মেয়াদ না বাড়ানোর পিছনে তিনটি মূল অভিযোগ তুলে ধরেছিলেন তিনি। সেগুলি ছিল, ছাত্রীদের হেনস্থা, দুর্নীতিতে যুক্ত থাকা এবং রাজনৈতিক যোগ৷। আর এই তিন কারণকে অপমানজনক বলে এদিন সাংবাদিক সম্মেলন করে মন্তব্য করেছেন একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য।
আরও পড়ুন:‘আমাকে গ্রেফতার করুন..!’ লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডস নিয়ে মুখ খুললেন অভিষেক, ছুঁড়লেন চ্যালেঞ্জ
এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন তথা হুগলির গ্রিন ইউনিভার্সিটির প্রাক্তন উপাচার্য আশুতোষ ঘোষ বলেন, “আমরা এই প্রথম জানতে পারলাম ছাত্রীদের হেনস্থা, দুর্নীতি ও রাজনৈতিক যোগাযোগ থাকার জন্য আমাদের মেয়াদ বাড়ানো হয়নি। রাজ্যপাল এই মন্তব্য করেছেন। এতে আমাদের ও আমাদের পরিবারের মানহানি,সম্মানহানি হয়েছে।”
অন্তর্বর্তিকালীন উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে বর্তমানে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত চরমে। রাজ্যের অভিযোগ, রাজ্যকে অন্ধকারে রেখেই একের পর এক অন্তর্বর্তিকালীন উপাচার্য নিয়োগ করে যাচ্ছেন রাজ্যপাল। যদিও রাজ্যপাল সম্প্রতি ভিডিও বার্তার মাধ্যমে স্পষ্ট করে দিয়েছেন, তিনি আদালতে নির্দেশ অনুযায়ীই কাজ করছেন।
তবে কিছুদিন আগে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনারও ইঙ্গিত দিয়েছেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বর্তমানে বিদেশ সফরে রয়েছেন। সে ক্ষেত্রে মনে করা হচ্ছে, বিদেশ সফর শেষ করে মুখ্যমন্ত্রী কলকাতায় ফেরার পরেই হতে পারে রাজ্যপাল-মুখ্যমন্ত্রী সাক্ষাৎ।