শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদার, মঙ্গল পাণ্ডেদের হাত ধরে বৃহস্পতিবার বিজেপিতে যোগ দেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। পদ্মের পতাকা হাতে নিয়েই সুর চড়ালেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ডাক দিলেন তৃণমূল সরকারকে উৎখাতের। বলেন, ‘‘আমার প্রথম উদ্দেশ্য বাংলা থেকে একটা দুর্নীতিগ্রস্ত দলের এবং দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারের বিদায়লগ্নের চব্বিশের ভোটেই সূচনা করে দেওয়া। যাতে ২০২৬ সালে তারা ক্ষমতায় আসতে না পারে।’’
advertisement
সল্টলেকের বাসিন্দা অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার বিজেপির সল্টলেকের অফিসে গিয়ে পদ্মশিবিরে যোগদান করেন তিনি। মঞ্চ আগে থেকেই প্রস্তুত ছিল। কারণ, আগেই তিনি বিজেপিতে যোগ দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বিজেপি দলীয় কার্যালয়ে আসার অনেক আগে থেকেই দলীয় কর্মী সমর্থকেরা অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত ছিলেন। মহিলাদের উলুধ্বনি, শঙ্খধ্বনি আর পুষ্প বৃষ্টিতে বরণ করা হয় অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে।
এ দিন বেলা ১২টা নাগাদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বাড়িতে যান বিজেপি নেতা অগ্নিমিত্রা পাল, সজল ঘোষেরা। সেখান থেকে মিনিট দশেকের মধ্যেই বিজেপি দফতরে। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে স্বাগত জানাতে তৈরি ছিলেন বিজেপি কর্মীরা। শাঁখ বাজিয়ে, ফুল ছুড়ে স্বাগত জানান। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের গাড়ি সল্টলেক অফিসের সামনের রাস্তায় এসে পৌঁছতেই রাস্তায় বিজেপি কর্মী সমর্থকরা দলীয় পতাকা নিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ায় অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের গাড়ি থেকে নেমে পড়েন।
বিজেপি কার্যালয় পর্যন্ত বেশ কিছুটা রাস্তা হেঁটেই বিজেপি রাজ্য অফিসে প্রবেশ করেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি। তখন থিক থিক করছে ভিড়। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি। এখন বিজেপি নেতা। আদালত থেকে কড়া নির্দেশ দিয়েছেন। এবার তিনি জনতার আদালতে। বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার কিংবা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীরা বলেন, ‘‘অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি গাঙ্গুলি আমাদের মাঝে যোগদান করায় আমরা খুশি। আজ থেকে নতুন লড়াইয়ের এক অধ্যায়ের সূচনা হল। আগামিদিনে বিজেপি তাঁকে সর্বতভাবে অর্থাৎ ইলেক্টোরাল পলিটিক্স এবং অন্যান্য জায়গায় ব্যবহার করবে।’’