গত দু'মাসের বেশি সময় ধরে বেহাল হয়ে পড়ে রয়েছে জাতীয় সড়ক বেলঘড়িয়া এক্সপ্রেসওয়ে। যত দিন গেছে, ততই বেড়েছে খানা খন্দ। বেড়েছে নিত্যদিন দূর্ঘটনা। যদিও হুঁশ ফেরেনি কর্তৃপক্ষের। প্রায় ২০ দিন আগে রাস্তা সারানোর কথা জানায় সংস্থা। যদিও সেই কাজ শুরুই করা হয়নি বড় অংশে। এরই মধ্যে ব্যাপক বৃষ্টি শুরু হয়ে যাওয়ায় রাস্তার হাল পুরোপুরি বেহাল হয়ে যায়। রাস্তায় জল জমে অবস্থা এতটাই খারাপ হয়ে যায়, যে দূর থেকে দেখে মনে হচ্ছিল যেন ছোট ছোট জলাশয়। আর এতেই টু হুইলার না বুঝে চলা আসায় দূর্ঘটনা ঘটছিল। এছাড়া বেশ কয়েকটি লরি খারাপ হয়েছে। এই দুইয়ে মিলিয়ে তীব্র যানজট তৈরি হচ্ছিল রাস্তায়।
advertisement
স্থানীয় বাসিন্দা সমীর বরণ সাহা জানাচ্ছেন, "একাধিকবার আবেদন করেও কোনও সুরাহা হচ্ছিল না। সংবাদ মাধ্যমে রাস্তার অবস্থা দেখে কিছুটা হলেও টনক নড়েছিল। যদিও দু'দিনের বৃষ্টিতে রাস্তার যা অবস্থা হয়েছিল তাতে প্রাণের ঝুঁকি বাড়ছে।যে অংশে খোয়া বা ছোট পাথর ফেলেও কোনও লাভ নেই। রাস্তার যা দশা তাই থেকে গেল। শুধু গর্তের চেহারা বড় থেকে কিছুটা ছোট হল।" এরই মধ্যে স্থানীয় দের অভিযোগ রাস্তা খারাপ থাকায় বড় গাড়ি ব্যবহার করছে সার্ভিস রোড। ফলে স্থানীয়দের আবাসনের যাতায়াত করার রাস্তাও ভীষণ খারাপ হয়ে গেছে।
বছরভর এভাবে রাস্তা খারাপ হওয়া নিয়ে কাজের ধরণ নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন ভুক্তভোগীরা। যদিও জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের দাবি, রাস্তা ঘন ঘন খারাপ হওয়ার অন্যতম কারণ হল ওভারলোডিং। একই সাথেতাদের বক্তব্য, রাস্তার জল জমে গেলে তা নিকাশির ব্যবস্থা থাকা দরকার। যদিও বেলঘড়িয়া এক্সপ্রেসওয়ে জুড়ে কোথাও কোনও নিকাশির ব্যবস্থা নেই। ফলে জল জমে রাস্তার হাল বেহাল হয়ে পড়েছে। এন এইচ এ আই'য়ের প্রজেক্ট ডিরেক্টর স্বপন কুমার মল্লিক জানিয়েছেন, "দীর্ঘদিন ধরে নিকাশি নালার কাজ আটকে। অবশেষে টেন্ডার ডাকা হয়ে গিয়েছে। এবার আশা করা যায় কাজ শুরু করে দিতে পারা যাবে।" তবে বৃষ্টির মধ্যে এই কাজ ও দায়সারা ভাবে কাজ করা নিয়ে ভীষণ রকম ভাবে অখুশি স্থানীয় বাসিন্দা ও রাস্তা ব্যবহারকারীরা।