ধর্মতলা থেকে আদৌ কি বাস স্ট্যান্ড সরবে? লাভজনক এই স্থান থেকে বাস স্ট্যান্ড সরাতে নিমরাজি বাস মালিকরা। এর আগেও একাধিকবার এই বাস স্ট্যান্ড সরানো নিয়ে বারবার বৈঠক হয়েছে ৷ কিছুদিন আগেও রাজ্যের মুখ্যসচিব এই বিষয়ে বৈঠক করেছেন৷ সোমবার রাজ্যের পরিবহণ দফতরে বিভিন্ন বাস মালিক সংগঠনদের নিয়ে ফের বৈঠক হয় ৷ এর আগে বৈঠকে কলকাতা পুলিশ, নগরোন্নয়ন দফতর, কলকাতার পুর কমিশনার, দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ, বিদ্যুৎ দফতর, পূর্ত দফতর, সেনা, কলকাতা মেট্রো, রেল বিকাশ নিগম লিমিটেড, কলকাতা মেট্রো রেল কর্পোরেশন এবং সমীক্ষা সংস্থা রাইটস-এর শীর্ষ কর্তারা হাজির ছিলেন। সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলে বিকল্প বাস স্ট্যান্ড এবং অন্যান্য যানবাহনের ‘মাল্টিমোডাল ট্রান্সপোর্ট হাব’ তৈরির পরিকল্পনা চূড়ান্ত করবে রাইটস।
advertisement
আরও পড়ুন– আসলের নামে বিক্রি হচ্ছিল নকল ব্যাগ ! বর্ধমানে অভিযান পুলিশের দুর্নীতি দমন শাখার
এসপ্লানেড তথা ময়দান এলাকার জমি যেহেতু সেনাবাহিনীর অধীন, তাই তাদের অনুমতিও নিতে হবে। ধর্মতলা চত্বরে জোকা-এসপ্লানেড মেট্রোর নির্মাণকাজ শুরু করার জন্য ময়দান মার্কেট ও নিকটবর্তী ওই বাস স্ট্যান্ড সরানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। যদিও রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই কলকাতা হাই কোর্টকে জানিয়েছে, বাস স্ট্যান্ড নিয়ে সমীক্ষার জন্য রাইটসকে নিয়োগ করা হয়েছে। সেখানে বহুতল পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা যায় কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে। এই সমীক্ষার জন্য চার সপ্তাহ সময় লাগবে। যার পরিপ্রেক্ষিতে গত শুক্রবার হাই কোর্ট জানিয়েছে, বাস স্ট্যান্ড নিয়ে কাজ কতটা এগোচ্ছে, তা সরকারকে ১৫ সেপ্টেম্বরে পরবর্তী শুনানির মধ্যে জানাতে হবে। ২০১৪ সালে হাই কোর্টের নির্দেশেই ধর্মতলা বাস স্ট্যান্ড স্থানান্তরকরণের প্রসঙ্গে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি তৈরি হয়েছিল।
রাজ্যের মুখ্যসচিবের নেতৃত্বাধীন ওই কমিটিতে বন্দরের প্রতিনিধিও ছিলেন। তখনই ৩০ বছরের লিজ় চুক্তিতে রাজ্য সরকারকে ওল্ড গরাগাছা রোডে ওই জমি দিয়েছিলেন বন্দর কর্তৃপক্ষ। আপাতত RITES সমীক্ষা করে একটা রিপোর্ট পেশ করবে৷ তার ওপরে অনেকটাই নির্ভর করে থাকবে। তবে পরিবেশবিদদের বক্তব্য, দূষণ ঠেকাতে এই বাসস্ট্যান্ড সরানো হোক৷