ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ভরতির ক্ষেত্রে পড়ুয়াদের মাপকাঠি কী? র্যাঙ্কিং, ক্যাম্পাসিং, বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানটির গ্রহণযোগ্যতা - পঠনপাঠন -- এসব বিবেচনা করেই সিদ্ধান্ত নেন পড়ুয়ারা। এসব মাপকাঠিতেই দেশের মধ্যে অন্যতম সেরা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ।
এহেন সেরা ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগও এবার এক আজব সমস্যায়। আগ্রহ দেখিয়েও যাদবপুরে ভরতি হতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন বড় অংশের পড়ুয়া। এমন ঘটনা যাদবপুরের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ক্ষেত্রে রীতিমতো নজিরবিহীন।
advertisement
ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৬টি শাখায় ১২৭৩টি আসন ৷ অনলাইনে সুযোগ পেয়ে চয়েস লক করেন ১২৬০ জন ৷ মাত্র ১০৭৩ জন ভর্তির শর্ত পূরণ করে হাজিরা দিয়েছেন ৷ বুধবার থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ভর্তি শুরু ৷ আরও কম পড়ুয়া ভরতি হতে পারেন বলে আশঙ্কা ৷
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। সুনাম ও স্বীকৃতি যেমন আছে, তেমনও বিশ্ববিদ্যালয় ঘিরে বিতর্কও কম নেই। বিশেষত টানা ছাত্র আন্দোলনের জেরে মাঝেমধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ে অচলাবস্থা স্বাভাবিক ঘটনা
ছাত্র আন্দোলনের জেরে প্রাক্তন উপাচার্য অভিজিৎ চক্রবর্তীকে সরাতে বাধ্য হয় রাজ্য প্রশাসন ৷ প্রবেশিকা পরীক্ষা সহ একাধিক ইস্যুতে টানা ঘেরাও-অবরোধ হয়েছে ৷ ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতেও আন্দোলন করেছেন যাদবপুরের পড়ুয়ারা ৷
এই আন্দোলন আর অচলাবস্থার জেরেই কী যাদবপুর ছেড়ে তুলনায় কম র্যাঙ্কিংয়ের শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান বেছে নিচ্ছেন পড়ুয়ারা? অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নে সেই সম্ভাবনাই সামনে এসেছে
যদিও আন্দোলনেরই জেরেই ছাত্র ভর্তি কমছে, এই যুক্তি মানছে না যাদবপুরের শিক্ষক সংগঠন। আন্দোলন আর অচলাবস্থার ছবিটা কাটলেই কী ১০০ শতাংশ পড়ুয়াকেই ধরে রাখতে পারবে যাদবপুর? নাকি সমস্যার কারণ খুঁজতে হবে অন্য জায়গায়?