শনিবার দুপুরে বন্ধুরা এসেছিল কসবা শরত ঘোষ গার্ডেন রোড বাড়িতে। ক্রিকেট খেলার জন্য ডাকতে এসেছিল সোহমকে। কিন্তু তখনই বাড়িতে মা বাবা বলেন, সামনে ফাইনাল পরীক্ষা, তাই খেলতে না যেতে। রাতে অনলাইন গেম কেন খেলে তা নিয়েও সোহমকে প্রশ্ন করা হয়। গেম খেলতে নিষধও করা হয়৷ মা বাবার বকুনি খায় সোহম ও তার বন্ধুরা। এরপর বন্ধুরা বাড়ি থেকে চলে যায়। কিছু ক্ষণ পর সোহমের মা-বাবা বাড়ি থেকে বাইরে যান কাজের কারণে। কিছুক্ষণ পর দুপুরে ২টো ১৫মিনিট নাগাদ বাড়িতে ফেরেন। দেখেন ঘরের মধ্যে সোহম বসুর ঝুলন্ত দেহ। খবর দেওয়া হয় পুলিশ৷ এরপর কসবা থানার পুলিশ এসে সোহমের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে।
advertisement
আরও পড়ুন Paternity Leave: সন্তান জন্মের পর মায়েদের মতো বাবারাও কি পাবেন বেশি দিনের ছুটি?
কোনও সুইসাইড নোট মেলেনি, দাবি পুলিশের। নিউ গড়িয়ার একটি বেসরকারি কলেজে ইলেকট্রনিক কমারশিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র সোহম। সোহমের বাবা জানান, " দুই বন্ধু বাড়িতে ডাকতে আসে সহমকে, ক্রিকেট খেলার জন্য। তখন সোহমের মা নিষেধ করেন খেলতে যেতে। রাতে অনলাইন গেম খেলতে মানা করা হয়। বকাবকি করা হয়েছিল কারণ সামনে ফাইনাল পরীক্ষা। আমরা দুজন বাইরে যাই। এরপর বাড়ি ফিরে এসে দেখি ছেলের ঝুলন্ত দেহ।"
ঘটনায় শোকস্তব্ধ পরিবার থেকে পাড়া প্রতিবেশী সকলেই। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, মা বাবার বকাবকির কারণেই ছেলে এভাবে আত্মঘাতী হয়েছে৷ দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনায় পাড়া প্রতিবেশীরাও হতবাক। বকুনির জন্য আত্মঘাতী ছেলে এটা পাড়ার কেউ মেনে নিতে পারছেন না। প্রশ্ন উঠছে, পরীক্ষা থাকার জন্য নিজের সন্তানকে মা বাবা বকুনি দেওয়া কি অপরাধ? প্রশ্ন ওয়াকিবহল মহলের।