পুলিশ সূ্ত্রে জানা গিয়েছে, ওই লরিতে ২২২ বস্তায় ১১০০ কেজি জাল কালো জিরে ছিল । গন্ধক দিয়ে পালিশ করা ধনেদানা ছিল ৫৫ বস্তা, প্রতি বস্তায় ছিল ৪৫ কেজি করে। ওই লরি এসেছিল নদিয়ার চাপড়া থেকে। প্রতিদিন এই কালোজিরে লরিবাহিত হয়ে কলকাতায় ঢোকে। অভিযোগ, যেহেতু মানুষের পছন্দ কুচকুচে কালো জিরে সেহেতু ওই অসাধু ব্যবসায়ীরা পোড়া মোবিলের সঙ্গে কালো রং মিশিয়ে কুচকুচে কালো করে তবেই বাজারে পাঠায়। এ ছাড়া বালি সিমেন্ট মিশিয়ে কালো রং করে এর সঙ্গে মেশায়। যা খেলে মানুষের পক্ষে বিষের সমান।
advertisement
এই বিষয়ে যাদবপুর বিশ্ব-বিদ্যালয়ের অধ্যাপক, গবেষক ডঃ প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘‘ জিরের সঙ্গে যেহেতু পোড়া মোবিল মেশানো আছে, সেহেতু ওতে, কার্বন,হেভি মেটাল, কেমিক্যাল অক্সিজেন ডিমান্ড বা সিওডি(COD) থাকে ৷ এ ছাড়া আর্সেনিক,ক্যাডমিয়াম, লেড, সিলেনিয়াম ইত্যাদিও থাকে । যার ফলে মানব শরীরে কারসিনোজেন অর্থাৎ ক্যান্সারের সম্ভাবনা থাকে।’’
আরও পড়ুন : 'দুয়ারে রেশন' অসম্ভব! ডিলারদের একাংশের লাগাতার দাবিতে আশঙ্কার মেঘ...
তিনি এও বলেন, বদ্ধ ঘরে নষ্ট হয়ে যাওয়া গন্ধক দিয়ে যে ভাবে ধনেমশলার দানা পালিশ করে, তাতে ছত্রাক থাকে। ওই ছত্রাক থেকে বিভিন্ন ভয়ংকর টক্সিন তৈরি হয়। যেমন ভেরো টক্সিন, আফলা টক্সিন ইত্যাদি। যা মানব শরীরে অতি ভয়ংকর।
আরও পড়ুন : পুজোর পরই কি রাজ্যে পুরভোট? নবান্নে যা বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
এর আগে অভিযোগ পেয়ে গোয়েন্দারা পোস্তা এলাকার আট নম্বর গলিতে, হরিওম ট্রেডার্স থেকে কালো জিরে ও ধনেমশলার দানার নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষার জন্য পাঠান ৷ সেই পরীক্ষার রিপোর্ট আসে, যা মানবশরীরের ক্ষেত্রে অতি ক্ষতিকারক বলে । শনিবার সেই সূত্র ধরে আটক করা হয় ওই কালোজিরের বস্তায় ভর্তি লরিটিকে । লরিটি মাল ভর্তি করে এসেছিল ওই ওম ট্রেডার্সের গোডাউনেই । ভেজালদ্রব্য নিয়ে ব্যবসার অভিযোগে, ওম ট্রেডার্সের মালিক লক্ষ্মীকান্ত শ’-কে গ্রেফতার করা হয়। ভেজালচক্রে জড়িতে অভিযোগে সত্যরঞ্জন বিশ্বাস ও লরিচালক মদন প্রসাদকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।