TRENDING:

Kolkata Police : পাথরের গুঁড়ো দিয়ে মসুরডাল পালিশ! এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের অভিযানে ধরা পড়ল কারখানায় ভেজালচক্র

Last Updated:

খাদ্যদ্রব্যে ভেজাল এবং বেআইনি কার্যকলাপের বিরুদ্ধে কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police ) এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ (Enforcement Branch ) প্রতিদিনই শহরের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে ।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
কলকাতা : খাদ্যদ্রব্যে ভেজাল এবং বেআইনি কার্যকলাপের বিরুদ্ধে কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police ) এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ (Enforcement Branch ) প্রতিদিনই শহরের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে । এ বার ধরা পড়ল মসুর ডাল পালিশের কাজ চলছিল পাথরের গুঁড়ো দিয়ে । পালিশের ফলে মসুর ডাল একেবারে চকচক করত। ফলে,বাজারে বিক্রি করতেও বেশ সুবিধা হয় ডালমিলের মালিকদের।
advertisement

উল্টোডাঙার দাসপাড়াতে প্রচুর ডালমিল রয়েছে । এর আগেও একবার মুগ ডাল পালিশ নিয়ে বেশ শোরগোল পড়ে ছিল ওই এলাকায় । বৃহস্পতিবার দুপুরে ১৩এ/২৮ আরিফ রোডে একটি ডালমিলে হানা দেয় এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ । সেই সময় পাউডারের মত সাদা পাথরের গুঁড়ো দিয়ে পালিশের কাজ চলছিল । ডালমিলের মালিক বিশাল জয়সওয়ালকে ওই বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, মসুর ডাল যত চকচকে হবে, তত মানুষের কাছে চাহিদা বাড়বে । তিনি আরও বলেন ‘‘ মসুর ডাল রান্নার আগে সবাই ধুয়ে ফেলে । যার ফলে মানুষের শরীরে এই পাউডার যায় না। ফলে কোনও ক্ষতিও হয় না।'

advertisement

এই বিষয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ দপ্তরে গবেষক ডক্টর প্রশান্ত বিশ্বাস বলেন, ‘‘ ডাল জাতীয় খাদ্যশস্যতে বর্ষাকাল কিংবা যে কোনও সময় ছত্রাক জন্মায় । পাউডার দিয়ে সেই ছত্রাক বা খারাপ ডালটা পালিশ করে,চকচকে করে ওরা । প্রতিটি মসুর ডালের দুটি অংশ জুড়ে একটি মসুর ডাল হয় । মসুর ডালের সেই খাঁজে এই ফাঙ্গাস বা ছত্রাক থেকে যায় । আর এর থেকেই আফ্লাটক্সিন নামে একটি টক্সিন ওর মধ্যে পাওয়া যায় । ডাল রান্না করার সময়, যে তাপ লাগে, তার থেকে চার থেকে পাঁচ গুণ বেশি তাপে আফ্লাটক্সিন নষ্ট হতে পারে । অতএব, সবার অজান্তে আফ্লাটক্সিন মানুষের শরীরে প্রবেশ করার সম্ভাবনা থাকে ।’’ এই আফ্লাটক্সিন হল টাইপ ২ কারসিনোজেনিক। অর্থাৎ ক্যানসারের কারণ ।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
লালগোলাতে রাজরাজেশ্বরী রূপে পূজিতা হন মা কালী! দেওয়া হয় ইলিশের ভোগ
আরও দেখুন

এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ ভেজাল মসুর ডালের উপর একটি মামলা শুরু করেছে । ৩৪৭ ব্যাগ পালিশ করা মসুর ডাল বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ । প্রতিটি ব্যাগের ওজন ৩০ কেজি করে । সঙ্গে কয়েক বস্তা সাদা পাউডারও উদ্ধার করেছে পুলিশ । কারখানার অভিযুক্ত মালিক বিশাল জয়সওয়ালকে গ্রেপ্তার করেছে । শুক্রবার তাকে আদালতে তুলবে এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের পুলিশ ।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
Kolkata Police : পাথরের গুঁড়ো দিয়ে মসুরডাল পালিশ! এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের অভিযানে ধরা পড়ল কারখানায় ভেজালচক্র
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল