#কলকাতা: এ কেমন ইদ! রেড রোডে আতরের গন্ধ নেই। ভিক্টোরিয়ার সামনে ঘোড়া গুলো লকডাউনের আর পাঁচটা দিনের মতোই ময়দানে ঘাস খাচ্ছে। সুরমাওয়ালা চুপচাপ বসে রয়েছে। কেবল মাত্র এই দিনে ময়দানে ইদ পালন করতে আসা কাবুলিওয়ালারা এসেছেন। তাও সংখ্যায় অনেক কম। সব মিলিয়ে ইদের দিনে ময়দানের যে চিত্র আমরা দেখে থাকি তার কিছুই এবার নেই। করোনা ভাইরাসের জন্য এবার খুশির ইদ যেন নিস্পৃহ।
advertisement
লকডাউন দু’মাস পূূূূর্ণ হয়ে গিয়েছে। আস্তে আস্তে সরকার এখন অনেক কিছুর ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিচ্ছে। সীমিত সংখ্যক যাত্রী নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে বাস চলাচল। অনেক সংস্থাও তাদের কর্মীদের অফিসে আসার জন্য বলছে। কিন্তু সব কিছুই একটা নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে করতে হবে। চলতে হবে সামাজিক দূরত্বের বিধি মেনে।
সেই বিধি মেনেই এবার ইদের নামাজ পড়া হল না রেড রোডে। প্রতিবার এই দিনে মুসলিম সম্প্রদায়ের কয়েক হাজার মানুষ ইদের নামাজ পড়েন রেড রোডে। সকালের স্নিগ্ধতায় সাদা কুর্তা পাজামা, আতরের সুবাস, সব মিলিয়ে এক অন্য পরিবেশ তৈরি হয় সেখানে। আশপাশের রাস্তা গুলোতে বহু মানুষ পসার সাজিয়ে বসেন। মেয়ো রোড, ডাফরিন রোড জুড়ে কোথাও ফল তো কোথাও সরবতের স্টল, কোথাও আবার সুরমাওয়ালা, বেলুনওয়ালা, কিছুই এবার নেই। পুরো এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে শুধুই আমফানের ধ্বংস্বলীলার চিহ্ন।
একই ভাবে ইদের দিন ময়দান জুড়ে বসে মেলা। অনান্যবার বহু মানুষ এদিন ময়দানে আসেন বেড়াতে। কিন্তু এবারের ইদে খাঁ খাঁ করছে ময়দান।পাঁপড়ওয়ালা, বাদামওয়ালা, আইসক্রিমওয়ালা, কেউ আসেননি এদিন। ময়দানে ঘোড়া ভাড়া খাটান শেখ সাবির আলী। তিনি বলেন, 'অনান্যবার ইদের দিন হাজার পাঁচেক টাকা নিয়ে বাড়ি ফিরতাম। কিন্তু এবার তো পাঁচশো টাকাও হবেনা মনে হচ্ছে।' তবে প্রতি বারের মতো এবারও ময়দানে এসেছেন কাবুলিওয়ালারা। কিন্তু তাঁরাও সংখ্যায় অনেক কম। কান্দাহারের বাসিন্দা দিলবক্স খান বাইকে বসে সেলফি তুলতে তুলতে বললেন, 'লকডাউনের দু’মাস বাড়িতেই ছিলাম। খুব প্রয়োজন ছাড়া বাইরে যাইনি। কিন্তু আজকের দিনটা স্পেশাল। তাই বিকেলে ভাইরা মিলে বেরিয়েছি।'