বুধবার পরপর তিনটি টুইট করে তিনি বলেন, 'কলকাতা ও জেলার পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর। পানীয় জল, বিদ্যুৎ,জরুরি পরিষেবা অমিল।এখনও ভয়ঙ্কর কষ্টে রয়েছেন মানুষ। এখনই আত্মতুষ্টির সময় নয়। আরও বেশি ত্রাণ পৌঁছানোই প্রধান কাজ হওয়া উচিত। রাজনীতি না করে প্রস্তুতি নেওয়া উচিত ছিল। মন্ত্রী বিধায়করা প্রকাশ্যে হেনস্থা হচ্ছেন। হেনস্থার ঘটনা বাস্তব পরিস্থিতির প্রমাণ। গ্রামীণ এলাকায় পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর। সেইসব এলাকায় বাড়তি নজর দিতে হবে। সংবিধান মেনে রিপোর্ট দিন মুখ্যমন্ত্রী।'
advertisement
এদিন টুইটের মাধ্যমে কার্যত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পরবর্তী পর্যায়ে রাজ্যের তরফ এ কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা নিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট দেওয়ার কথা জানিয়ে দিয়েছেন রাজ্যপাল। গত কয়েকদিন ধরেই টুইটের মাধ্যমে বারবার রাজ্যের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন রাজ্যপাল।
বিশেষত আমফান মোকাবিলায় কেন পর্যাপ্ত ব্যবস্থা আগে থেকে রাখেনি রাজ্য তা নিয়ে কয়েকদিন আগেও রাজ্যকে খোঁচা দেন রাজ্যপাল। এদিনও টুইট করে ফের একই বিষয় নিয়ে রাজ্যকে খোঁচা দিলেন রাজ্যপাল।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য আমফান রাজ্যে আছড়ে পড়ার আগে রাজ্য প্রশাসনের প্রস্তুতি নিয়ে প্রশংসা করেছিলেন রাজ্যপাল।
গত বুধবার রাজ্যে আমফান আছড়ে পড়লেও টানা কয়েকদিন কলকাতা ও শহরতলিতে বিদ্যুৎ পরিষেবা অমিল ছিল। যদিও এখনও বেশ কয়েকটি জায়গায় বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক করা যায়নি।তা নিয়েও গত কয়েকদিন ধরেই টুইট করেছেন রাজ্যপাল। তবে কলকাতা ও শহরতলিতে বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক হলেও গ্রামগুলিতে কবে বিদ্যুৎ আসবে তা নিয়ে এখনও নিশ্চিত নয় রাজ্য প্রশাসন। একের পর এক বিদ্যুতের খুঁটি যেভাবে পড়ে রয়েছে তা নিয়ে প্রশাসনের বাড়তি নজরদারি করা উচিত বলেই মনে করেন রাজ্যপাল।
এর আগেও একাধিক বিষয় নিয়ে রাজ্য রাজ্যপাল সংঘাত শুরু হয়েছিল। যদিও আমফানের পরপর রাজ্যে সামান্য ক্ষতি হয়েছে বলে টুইট করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন রাজ্যপাল। পরে অবশ্য নিজেই সেই বিতর্কের সামাল দেন। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে রাজ্যকে ১০০০ কোটি টাকার প্যাকেজ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু বুধবার টুইটের মাধ্যমে আবারও জল্পনা বললো তাহলে কি এই আমফান পরবর্তী পর্যায়ে রাজ্য প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও রাজ্য রাজ্যপাল সংঘাত হতে শুরু করেছে?
SOMRAJ BANDOPADHYAY