পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনের বাসিন্দা এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে খুনের ঘটনায় নাম জড়িয়েছে রাজগঞ্জের বিডিও প্রশান্ত বর্মনের৷ মৃত ব্যবসায়ীর পরিবারের অভিযোগ, সল্টলেকের দত্তাবাদের দোকান থেকে স্বপন কামিল্যা নামে ওই ব্যক্তিকে অপহরণ করে খুন করেছেন রাজগঞ্জের বিডিও৷ যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রাজগঞ্জের বিডিও৷
এই ঘটনায় নাম জড়ানোর পর থেকেই রাজগঞ্জে নিজের দফতরে দেখা যাচ্ছে না অভিযুক্ত বিডিও-কে৷ এরই মধ্যে রাজ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে এসআইআর-এ বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা যাচাইয়ের কাজ৷ এই পরিস্থিতিতে কেন রাজগঞ্জের বিডিও নিজের দফতরে অনুপস্থিত থাকছেন, জলপাইগুড়ির জেলাশাসকের কাছে সেই প্রশ্নেরই উত্তর চেয়েছেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ কুমার আগরওয়াল। এ ছাড়াও ওই বিডিও-কে নিয়ে একাধিক প্রশ্নের উত্তর রিপোর্ট আকারে চাওয়া হয়েছে৷
advertisement
শুধু তাই নয়, গতকাল রাজগঞ্জের বিডিও দফতরের বাইরে একাধিক ভোটার কার্ড পড়ে থাকার যে ঘটনা সামনে এসেছিল, তা নিয়েও জেলাশাসকের রিপোর্ট তলব করেছে কমিশন৷ সবমিলিয়ে স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে খুনের ঘটনায় আরও বিপাকে পড়লেন রাজগঞ্জের বিডিও প্রশান্ত বর্মন৷
রাজগঞ্জের বিডিও-র দাবি ছিল, তিনি সম্প্রতি কলকাতাতেই আসেনি৷ কিন্তু গত ২০ অক্টোবর যে রাজগঞ্জের বিডিও বাগডোগরা থেকে বিমানে কলকাতায় এসেছিলেন সেই প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ৷ ইতিমধ্যেই বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে সংশ্লিষ্ট বিমানের যাত্রী তালিকাও সংগ্রহ করেছে বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিশ৷ বিডিও-র বাড়ির এক কর্মীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে৷
