কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার এই বিষয়েই ডিইও-দের সঙ্গে বৈঠক করবেন ডেপুটি কমিশনার জ্ঞানেশ ভারতী। দুপুর নাগাদ রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। মঙ্গলবারই দিল্লি থেকে কলকাতায় পৌঁছবেন ডেপুটি কমিশনার জ্ঞানেশ ভারতী।
জানেন, ভারতের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে ৭টিই কোন রাজ্যে? নয়তো বদলে যেত দেশের শিক্ষার ইতিহাস
advertisement
স্ত্রীর নামে পোস্টঅফিসে ১ লক্ষ টাকার ফিক্সড ডিপোসিট করলে ২ বছরে কত টাকা মিলবে?
উল্লেখ্য, রাজ্যের বিভিন্ন বহুতল ও হাউসিং সোসাইটিতে ভোটগ্রহণ কেন্দ্র তৈরিতে অনীহা রয়েছে—এমন একটি রিপোর্ট সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনের হাতে আসে। সেই রিপোর্ট পাওয়ার পরপরই জাতীয় নির্বাচন কমিশনের তরফে বিষয়টি নিয়ে আরও সক্রিয় ভূমিকা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। তারই পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে চলেছে বলে কমিশন সূত্রে খবর।
যদিও, বহুতলে ভোটগ্রহণ কেন্দ্র তৈরির বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলির অবস্থান এক নয়। এই প্রসঙ্গে সব পক্ষকে নিয়ে আলোচনা করলে বিষয়টি আরও জটিল হয়ে উঠতে পারে বলেই মত সংশ্লিষ্ট মহলের। তাই যেখানে বাস্তবিক অর্থে নতুন ভোটগ্রহণ কেন্দ্র তৈরির প্রয়োজন রয়েছে, সেখানেই বুথ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে সূত্রের খবর।
তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের মতে, বহুতলে বুথ করা নিয়ে একাধিক সমস্যা রয়েছে। তাঁর বক্তব্য, কেন্দ্রীয় বাহিনী এলে তারা কোথায় থাকবে, নিরাপত্তা ব্যবস্থা কীভাবে হবে—এই সব বিষয় বাস্তব সমস্যার সৃষ্টি করে। অন্যদিকে বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, নির্বাচন কমিশন বিষয়টি খতিয়ে দেখছে এবং কীভাবে বাস্তবসম্মত ভাবে ব্যবস্থা নেওয়া যায়, সে দিকেই নজর দেওয়া হচ্ছে। তিনি জানান, কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকাগুলিতে গত কয়েক বছরে দ্রুত হারে বহুতল বেড়েছে, যা নতুন করে চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে।
উল্লেখ্য, বিশেষ নিবিড় সংশোধন বা এসআইআর চলাকালীন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমারকে পরপর দুটি চিঠি পাঠিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই চিঠিগুলির একটিতে আবাসনে ভোটগ্রহণ কেন্দ্র তৈরির বিষয়ে আপত্তির কথা স্পষ্ট ভাবে জানানো হয়েছিল।
