আজ সরষে তেলের পাইকারি দাম, কেজি প্রতি ১৬১.৬৬ টাকা। পাম তেল কেজি ১৩০ টাকা,সয়াবিন তেল ১৪০ টাকা কেজি। আগামিকাল আবার তেলের দাম কমার সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে মালয়েশিয়া, ইউক্রেন থেকে যে তেল আমাদের দেশে আসত, সেই তেলের যোগান আগের থেকে অনেক বেড়ে গিয়েছে। মূলত পাম তেল আসত মালয়েশিয়া থেকে। শ্রীলঙ্কায় রাজনৈতিক ও সরকারের অস্থিরতার জন্য ওই দেশ তেল আমদানি করছে না।সঙ্গে বাংলাদেশ সরকার তেল আমদানি অনেক কমিয়ে দিয়েছে। যার ফলে তেলের প্রাচুর্য্যতা অনেক পরিমাণে বেড়ে গিয়েছে ওই দেশগুলিতে। সেই সুযোগে ভারতে তেল প্রচুর পরিমাণে আসছে।
advertisement
প্রয়োজনের তুলনায় জোগান বেশি হওয়ার জন্য দাম স্বাভাবিক ভাবেই কমছে।এই বিষয়ে পোস্তা এলাকার ভোজ্য তেলের মার্চেন্ট ভদ্রকালী অয়েল মিলের কর্ণধার সুশান্ত চিনে বলেন, 'তেল কিনতে গিয়ে বিপদে পড়ছি। প্রতিদিনের ভোজ্য তেলের চাহিদা সমান থাকে না। দাম প্রতিদিন কমে যাওয়ার ফলে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে আমরা। তবে ভোজ্য তেলের দাম পর পর আরও নামবে।'
আরও পড়ুন- LIC-র শেয়ারহোল্ডারদের জন্য সুখবর, গত এক বছরে বিশাল বৃদ্ধি কোম্পানির এমবেডেড ভ্যালুতে!
বিশেষজ্ঞরা অন্যদিকে কালো মেঘ দেখছেন। পাম তেলের দাম কম হয়ে যাওয়ার কারণে,ভেজাল সরষের তেল তৈরির সম্ভাবনা কেউ উড়িয়ে দিচ্ছেন না। কারণ সয়াবিন তেল ও পাম তেলের দাম বাজারে অনেকটা পড়ে গিয়েছে। এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের আধিকারিকেরা গত কয়েক মাসে এই ভাবে ভেজাল তেলের বেশ কয়েকটি কারবারি ধরেছিল। তাদের ভেজাল তেল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। গ্রেফতারও করা হয়েছিল। ইউক্রেনের যুদ্ধের সময়ে বিদেশ থেকে তেল আসা প্রায় বন্ধ ছিল। সেই সময়ে সরষে তেলের থেকে পাম, সয়াবিন, সূর্যমুখীর তেলের দাম বেশ খানিকটা বেশি ছিল। যার ফলে ক্রেতারা সরষের তেল খাঁটি পেয়েছিল। কিন্তু,সেই পুনর্মুষিকভব।