মার খাওয়া ইডি অফিসারদের বিরুদ্বেই চুরি, শ্লীলতহানীর অভিযোগ ওঠায় রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে। পুলিশের কাছে শাহাজাহান শেখের কেয়ারটেকার দিদার বক্স মোল্লার করা অভিযোগে উল্লেখ, ১ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা চুরি করেছে ইডি। মামলা রুজু হয়েছে ৪৪৭, ৪৪৮( ট্রেসপাসিং), ৪২৭ (সম্পত্তির ক্ষতি ), ৩৭৯ (চুরি), ৫০৬ (ভয় দেখানো ), ৩৪ ধারায় (মিলিত অভিসন্ধি)।
advertisement
আরও পড়ুন: আদালতে বড় স্বস্তি পেল ইডি, সন্দেশখালির ঘটনায় তাজ্জব হাইকোর্ট! বিস্ফোরক অভিযোগ
গত ৫ জানুয়ারি ন্যাজাট থানাতে দায়ের করা হয় অভিযোগ। ৭ জানুয়ারি মামলা রুজু হয়। ইডির অফিসারদের প্রশ্ন, যে বাড়িতে ঢুকতেই পারল না টিম, সেখানে চুরির অভিযোগ কীসের ভিত্তিতে দায়ের করল পুলিশ?
আরও পড়ুন: ই-ভেইকেল-এর বিরাট ভবিষ্যৎ, বাংলার জন্য ‘সুদিনের’ কথা জানালেন পরিবহণ মন্ত্রী
এদিন হাইকোর্টে শুনানিতে ইডির তরফে বলা হয়, বিরাট দুর্নীতি এটা। দুটি বাড়িতে তল্লাশি চালাতে যাওয়া হয়েছিল। ইডির বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। ইডি তল্লাশিতে গিয়ে আক্রান্ত, রক্তাক্ত, হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে অফিসারদের৷ এরপরই বিচারপতি জানতে চান, ইডির বিরুদ্ধে অভিযোগকারী কে? ইডি জানায়, দিদার বক্স মোল্লা, বাড়ির কেয়ারটেকার। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা জানায়, ইডি তল্লাশিকে প্রশ্নে মুড়তে এমন মিথ্যা, ভিত্তিহীন অভিযোগ করা হয়েছে। শ্লীলতাহানি, হুমকি, জোর করে বাড়িতে ঢোকার মতো ধারায় এফআইআর করা হয়েছে ইডি বিরুদ্ধে। ৪৪৭/৪৪৮/৪২৭/৩৫৪/৩৭৯/৫০৬ এবং ৩৪ ধারায় এফআইআর ইডি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে।
বিচারপতি এরপর বলেন, ১.৩৫ লক্ষ টাকা চুরি হয়েছে শাহাজাহানের বাড়ি থেকে। বাচ্চাদের মারধর করা হয়েছে। মহিলাদের সম্ভ্রমহানী। গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগ। কিন্তু সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখবে না পুলিশ! পুলিশ কর্মী পিনাকির নিয়ে আসা তথ্য না দেখেই FIR করা হল! ইডি-র বিরুদ্ধে এফআইআর করার আগে অনুসন্ধান হয়েছিল? নাকি অভিযোগ পাওয়ার পরেই সোজা এফআইআর করে দিয়েছে!
বিচারপতি বলেন, আদালত গ্রাহ্য অপরাধ হলে পুলিশ এফআইআর করতে পারে। কিন্তু এফআইআর রুজুর আগে অনুসন্ধান তো করতে হবে। কোন তথ্য প্রমাণে এফআইআর? এফআইআর একবার রিডিং পড়ার পরেই এফআইআর। কোনও নূন্যতম অনুসন্ধান বা খোঁজখবর করার আগেই?