যদিও আধিকারিকদের এগিয়ে দেওয়ার পরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমখি হতেই একের পর এক তোপ দাগতে দেখা গিয়েছে তাঁকে৷ তাঁর স্পষ্ট কথা, কোনও রকম দুর্নীতির সঙ্গেই তিনি জড়িত নন৷ তাঁর দাবি, তাঁর তিনটি সম্পত্তি রয়েছে। একটি তাঁর নিজস্ব বাড়ি, দ্বিতীয়টি হচ্ছে তাঁর পৈতৃক সম্পত্তি এবং তৃতীয়টি ফ্রেজারগঞ্জের কেনা একটি জায়গা। সূত্রের খবর, এদিন সুজয়বাবুর বাড়ি থেকে বেশ কিছু নথি উদ্ধার করেছেন ইডি-র তদন্তকারীরা৷ উদ্ধার হয়েছে হার্ডডিস্ক এবং পেনড্রাইভও৷
advertisement
নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ‘কালীঘাটের কাকু’ অর্থাৎ সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের শ্বশুরবাড়িতে শনিবার সকাল থেকে ইডি রেইড হয়। এই খবর রটে যাওয়ার পর বেহালা ফকিরপাড়া লেনে রীতিমতো কানাঘুষা শুরু।কালীঘাটের কাকু অর্থাৎ সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র যেভাবে আর্থিক প্রভাব বিস্তার করেছিলেন, তার ভাগীদার নাকি তার শ্বশুরবাড়ির লোকজনেরা, এমনই অভিযোগ। এলাকা সূত্রে খবর ,শ্বশুরবাড়িতে তিন শ্যালক রয়েছে সুজয়ের। তারা সে রকম ভাবে কাজকর্ম করেন না। তবে তাদেরকে সুজয় বাবু ফাঁসিয়েছেন বলে অনেকেই দাবি করেন।
শনিবার সকাল থেকে ৪ থেকে ৫ জন ইডির আধিকারিক সুজয় বাবুর শ্বশুরবাড়ি সহ, সুজয় বাবুর বাড়ি এবং সুজয় বাবুর অফিসে তল্লাশি চালানো শুরু করে। শ্বশুরবাড়ির চেহারা দেখে মনে হল না তারা বিত্তশালী বলে।যেহেতু ইডির রেইড চলছে, সেহেতু আশেপাশের কোনো মানুষ সেরকম ভাবে মুখ খুলতে চাইলেন না। প্রণবত্ব এবং সুব্রত কুমার বিশেষ করে এই দুজনকেই দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করেন ইডির আধিকারিকেরা।
আরও পড়ুন: রবিতে নীতীশ, মঙ্গলেই মমতা! কলকাতায় আসছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল, হঠাৎ কী জরুরি দরকার?
প্রায় ১৩ ঘণ্টা তল্লাশি চালিয়ে অবশেষে ইডির টিম কিছু নথি বাজেয়াপ্ত করে ওখান থেকে বেরিয়ে যায়। এছাড়াও, সূত্রের খবর, শ্বশুরবাড়ির পাশে একটি অফিস রয়েছে। সেই অফিসের মধ্যে গিয়ে প্রচুর পরিমাণে দামী মদের বোতল এবং ল্যাপটপ, কম্পিউটার পেয়েছে ইডি। সেখান থেকে একটি হার্ডডিস্ক সংগ্রহ করে বলে সূত্রের খবর। সুজয় ভদ্রের আত্মীয়দের মিলে এবং অফিস মিলে মোট ৫ জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছে ইডি। ইডির তরফ থেকে তেমন কিছু জানানো হয়নি এখনও এ বিষয়ে।