এসএসসি দুর্নীতি কাণ্ডে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কেও গ্রেফতার করেছিল ইডি৷ ইডি হেফাজত শেষ হওয়ার পর আদালতের নির্দেশেই পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছে৷ প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দি রয়েছেন পার্থ৷ আর অর্পিতা বন্দি রয়েছেন আলিপুর মহিলা সংশোধনাগারে৷
আরও পড়ুন: পাশে নেত্রী, জানতে পেরেই আত্মবিশ্বাসী অনুব্রত, জেরায় মুখে কুলুপ! দাবি সিবিআই সূত্রের
advertisement
এ দিন বেলা বারোটার পরে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে জেরা করতে আলিপুর মহিলা সংশোধানাগারে পৌঁছন ইডি কর্তারা৷ জেল হেফাজতে থাকাকালীন যাতে অর্পিতাকে জেরা করা যায়, আদালতের থেকে সেই অনুমতি নিয়েছিল ইডি৷ আলিপুর মহিলা সংশোধনাগারের একটি ঘরে অর্পিতাকে জেরা করা হচ্ছে বলে খবর৷
তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই অর্পিতা মুখোপাধ্যায় এবং পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নামে একাধিক সম্পত্তির দলিলের খোঁজ পেয়েছে ইডি৷ অর্পিতার একাধিক এলআইসি-তে নমিনি হিসেবেও পার্থর নাম রয়েছে৷ এই সমস্ত বিষয়ে অর্পিতার থেকে তথ্য জানার চেষ্টা করতে পারে ইডি৷ আগামী ১৮ অগাস্ট ফের ইডি-র বিশেষ আদালতে পার্থ- অর্পিতাকে পেশ করার কথা৷ তার আগে অর্পিতার থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আদায়ের চেষ্টা করছে ইডি৷
ইডি হেফাজতে থাকাকালীন অর্পিতার থেকে কিছুটা হলেও তথ্য পেয়েছিল তদন্তকারী সংস্থা৷ কিন্তু মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন পার্থ৷ এমন কি, অর্পিতাকে চিনতেও অস্বীকার করেন তিনি৷ ফলে অর্পিতাকে জেরা করেই এসএসসি দুর্নীতি কাণ্ডে আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলতে পারে বলে আশাবাদী ইডি৷ অর্পিতার টালিগঞ্জ এবং রথতলার দু'টি ফ্ল্যাট থেকেই প্রায় পঞ্চাশ কোটি টাকা উদ্ধার করেছে ইডি৷
এমনিতেই অর্পিতার প্রাণনাশের আশঙ্কা রয়েছে বলে আদালতে দাবি করেছিল ইডি৷ অর্পিতার উপরে বিশেষ নজর রাখার জন্য নির্দেশ দিয়েছিল আদালত৷ অর্পিতার নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে তিনি যে ওয়ার্ডে রয়েছেন সেখানকার বন্দির সংখ্যাও কমানো হয়েছে বলে জেল সূত্রে খবর৷