দুই এফআইআরের কেস ডায়েরি পেশ করতে নির্দেশ।
এদিন হাইকোর্টে শুনানিতে ইডির তরফে বলা হয়, বিরাট দুর্নীতি এটা। দুটি বাড়িতে তল্লাশি চালাতে যাওয়া হয়েছিল। ইডির বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। ইডি তল্লাশিতে গিয়ে আক্রান্ত, রক্তাক্ত, হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে অফিসারদের৷ এরপরই বিচারপতি জানতে চান, ইডির বিরুদ্ধে অভিযোগকারী কে? ইডি জানায়, দিদার বক্স মোল্লা, বাড়ির কেয়ারটেকার। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা জানায়, ইডি তল্লাশিকে প্রশ্নে মুড়তে এমন মিথ্যা, ভিত্তিহীন অভিযোগ করা হয়েছে। শ্লীলতাহানি, হুমকি, জোর করে বাড়িতে ঢোকার মতো ধারায় এফআইআর করা হয়েছে ইডি বিরুদ্ধে। ৪৪৭/৪৪৮/৪২৭/৩৫৪/৩৭৯/৫০৬ এবং ৩৪ ধারায় এফআইআর ইডি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে।
advertisement
আরও পড়ুন: ই-ভেইকেল-এর বিরাট ভবিষ্যৎ, বাংলার জন্য ‘সুদিনের’ কথা জানালেন পরিবহণ মন্ত্রী
বিচারপতি এরপর বলেন, ১.৩৫ লক্ষ টাকা চুরি হয়েছে শাহাজাহানের বাড়ি থেকে। বাচ্চাদের মারধর করা হয়েছে। মহিলাদের সম্ভ্রমহানী। গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগ। কিন্তু সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখবে না পুলিশ! পুলিশ কর্মী পিনাকির নিয়ে আসা তথ্য না দেখেই FIR করা হল! ইডি-র বিরুদ্ধে এফআইআর করার আগে অনুসন্ধান হয়েছিল? নাকি অভিযোগ পাওয়ার পরেই সোজা এফআইআর করে দিয়েছে!
বিচারপতি বলেন, আদালত গ্রাহ্য অপরাধ হলে পুলিশ এফআইআর করতে পারে। কিন্তু এফআইআর রুজুর আগে অনুসন্ধান তো করতে হবে। কোন তথ্য প্রমাণে এফআইআর? এফআইআর একবার রিডিং পড়ার পরেই এফআইআর। কোনও নূন্যতম অনুসন্ধান বা খোঁজখবর করার আগেই?
আরও পড়ুন: মিটছে না কুয়াশার সমস্যা, পুণ্যার্থীদের ভোগান্তি গঙ্গাসাগরে
ইডি জানায়, শাহাজাহানকে প্রথমে ডাকা হয়। সমন বিষয়ে জানানো হয়। তাঁর ফোন সমানে বিজি। মোবাইল কল ট্র্যাক করে নিশ্চিত বাড়িতেই ছিল শাহজাহান। কখন বাড়িতে পৌঁছান, জানতে চান বিচারপতি। ইডির তরফে জানানো হয়, সকাল ৭.১৫ মিনিট নাগাদ। বিচারপতি ফের জানতে চান, কখন জমায়েত থেকে আক্রমণ করে? ইডি জানায়, ৩০-৪০ মিনিট পর থেকে।
ইডির তরফে অভিযোগ করা হয়, অভিযোগপত্রে পদক্ষেপ না নিয়ে এই পরিকল্পনা মাফিক এফআইআর। পূর্ব পরিকল্পিত ঘটনা, ইডির ওপর আক্রমণ। কোন কোন ইডি আধিকারিক, তল্লাশি অভিযান টিমের সদস্য কারা, কোন পদমর্যাদার তা জানতে চাইছে রাজ্য পুলিশ। রাজ্য পুলিশ একটা টুল হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এরপরই ৩১ মার্চ পর্যন্ত ইডির বিরুদ্ধে এফআইআরে স্থগিতাদেশের নির্দেশ দেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা।