একইসঙ্গে ইডির দাবি রাজ্যজুড়ে কুন্তল ঘোষের ২২ জন এজেন্টের হদিশ পাওয়া গিয়েছে, যারা কুন্তলের হয়ে বিভিন্ন চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করতেন। এই এজেন্টদের মাধ্যমেও জেলা থেকে কুন্তলের কাছে টাকা পৌঁছেছে বলে দাবি ইডির। প্রসঙ্গত, শুক্রবার জেল হেফাজতে মেয়াদ শেষে আদালতে পেশ করা হয়েছিল কুন্তলকে। আগামী ১৭ মার্চ পর্যন্ত তাকে ফের জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ আদালতের। এদিনও ইডির তরফে আদালতে দাবি করা হয়েছে কুন্তলের মাধ্যমে আর্থিক লেনদেন হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: পার্থর ২০১ ভুয়ো সংস্থার ডিরেক্টর রিক্সাচালক-দিনমজুর! সব রহস্য ফাঁস করলেন অর্পিতা
ইডির তরফে দাবি করা হয়েছে যে, তারা ১০ জন এজেন্টদের বয়ান নেওয়া হয়েছে। যেখানে তারা জানিয়েছেন প্রায় ২০০ জন প্রার্থীদের থেকে তারা টাকা তুলে দিয়েছেন কুন্তলকে। মোট ১৬ কোটি টাকা দেওয়া হয়। প্রতি প্রার্থীদের থেকে ৮ লক্ষ টাকা করে নেন কুন্তল বলে দাবি ইডির। এমনকী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছেও টাকা পাঠানো হয়েছে বলে ফের দাবি করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বিএড- DL. Ed কলেজের অনুমোদনে জন্যও টাকা নেওয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে পার্থ-মানিকের প্রভাবকে কাজে লাগানো হয়েছে বলেও দাবি করেছে ইডি।
আরও পড়ুন: টালিগঞ্জ-নিউটাউন-সোদপুর, কোথাও বাদ নেই! কোমরবেঁধে তল্লাশি চালাচ্ছে সিবিআই
যদিও আদালতে এদিন কুন্তলের আইনজীবী দাবি করেন, কুন্তল একজন ব্যবসায়ী, তার একটি কলেজ আছে, স্কুল আছে। ইডি যে তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ৬.৫ কোটি টাকার লেনদেনের কথা বলছে সেই টাকা ব্যবসা সূত্রে লেনদেন হয়ে থাকতে পারে। তার আরও দাবি ইডি মেয়াদকাল স্পষ্ট করুক যে ওই টাকা কবে লেনদেন হয়েছে। একইসঙ্গে মানি লন্ডারিং আইনে মামলা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন কুন্তলের আইনজীবী। তার দাবি কোনও নগদ টাকা উদ্ধার করতে পারেনি ইডি।
অমিত সরকার