গোটা ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় দীর্ঘ পোস্ট করে ঘটনার তদন্তে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-র তদন্ত দাবি করেছেন বিজেপি নেতা৷ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের দফতরের হস্তক্ষেপের আর্জিও জানিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে নিজের X হ্যান্ডেলে রাজ্যপাল ও ইডি ও সিআরপিএফ-এর শীর্ষ প্রশাসনেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন শুভেন্দু।
advertisement
এদিন সন্দেশখালির সরবেড়িয়ায় শাহজাহানের বাড়িতে যান ইডি আধিকারিকরা। জানা যায়, তৃণমূল নেতা সেই সময় বাড়ির ভেতরেই ছিলেন। একাধিকবার ডাকাডাকি করলেও কোনও সাড়া মেলেনি। সেই সময় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা বাড়ির তালা ভাঙতে গেলে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি।
মুহূর্তেই প্রচুর গ্রামবাসী এসে উপস্থিত হন। তাঁরা প্রশ্ন তোলেন, ‘কেন আগে থেকে জানিয়ে আসে না ইডি?’ এমনকী সরিয়ে দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়াদের। শুধু তাই নয়, ভাঙচুর করা হয় ইডি-র গাড়ি। সূত্রের খবর, এরপর ইডি আধিকারিকরা ঘটনাস্থল ছাড়েন এবং লঞ্চ নিয়ে সেখান থেকে বার হন। প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে, রেশন দুর্নীতি মামলার জন্য এই তৃণমূল নেতাদের বাড়িতে তল্লাশি চালানোর পরিকল্পনা করা হয়।
আরও পড়ুন: ২ ফেব্রুয়ারি মাধ্যমিক! তার আগে স্কুলের পরীক্ষা, ১৪ দফা প্রশ্ন নিয়ে তৈরি পর্ষদ
বেশ কয়েকটি রাস্তা কাঠের গুঁড়ি দিয়ে অবরোধ করা হয়। টায়ারে আগুন ধরিয়ে প্রতিবাদ করতেও দেখা যায় স্থানীয়দের একাংশকে। সংবাদমাধ্যমের গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয়দের বিরুদ্ধে। এই প্রথম কোনও অভিযানে গিয়ে এত বড় বিক্ষোভের মুখে পড়ল ইডি।