এই দুই অভিযোগনামার সঙ্গে রাজ্য পুলিশের থেকে নেওয়া সমস্ত নথি যুক্ত করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। এদিকে, গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলের প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হুসেনকে জেরা করতে ইডি টিম আসানসোল সংশোধনাগারে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চলেছে। ইডি এর আগে এ বিষয়ে আবেদন করেছিল আদালতের কাছে। সেই অনুসারে শুক্রবার সায়গলকে জেলে গিয়ে জেরা করতে চলেছে ইডি। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত জানা গিয়েছে, আসানসোল জেলে পৌঁছে গিয়েছেন ইডি আধিকারিকরা।
advertisement
আরও পড়ুন: ১৫০০ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে আরও ২০ কোটি উদ্ধার, আমির খান-কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর মোড়!
প্রসঙ্গত, এর আগে গরু পাচার মামলায় ইডি হেফাজতে ছিলেন এনামুল হক। এবার সেই এনামুলের তিন ভাইপোও সিআইডি-র স্ক্যানারে পড়েছিল। সূত্রের খবর, এনামুলের তিন ভাইপোর ১২টি কোম্পানির হদিশ পেয়েছে সিআইডি। বেন্টিঙ্ক স্ট্রিটে তল্লাশিতে সেই সমস্ত সংস্থার নথিও উদ্ধার হয়েছে বলে সিআইডি সূত্রে খবর।
সূত্রের খবর, এনামুল গ্রেফতার হওয়ার পর এই সমস্ত সংস্থা থেকে বিপুল টাকা সরানো হয়েছে। সেই টাকা বাংলাদেশ ও ইউনাইটেড আরব এমিরেটস বা সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে (UAE) পাঠানো হয়েছে বলেও সূত্রের দাবি। দুই দেশে বেনামে ব্যবসা চলছে বলেও মনে করছেন তদন্তকারীরা।
এই গরু পাচার মামলায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন তিনি। চার বছর আগে বিশু শেখের সিন্ডিকেটের নাম উঠে এসেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে। এরপরই সেই সিন্ডিকেটের মাথার খোঁজে নেমে এনামুল হকের খোঁজ পান তদন্তকারীরা। ২০১৮ সালের মার্চ মাসে গ্রেফতার করা হয় এনামুলকে। সেই প্রথম সামনে আসে গরু পাচারের রমরমার বিষয়টি। প্রাথমিক তদন্ত শুরু করে সিবিআই।