কিন্তু কী রয়েছে ওই মেরুন ডায়েরিতে?
এ দিন আদালতে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে নিজেদের হেফাজতে চেয়ে আবেদন করে ইডি৷ প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীর সঙ্গে যে রেশন দুর্নীতির যোগ রয়েছে, তা প্রমাণ করতেই এই মেরুন ডায়েরির প্রসঙ্গ তোলেন ইডি-র আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি৷ ইডি আদালতে দাবি করে, ডায়েরির ভিতরে রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে কাকে কত টাকা দেওয়া হয়েছে, তার হিসেব লেখা ছিল৷ সেখানেই বালুদা (জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ডাক নাম) কত টাকা নিয়েছেন, তার হিসেবও লিখে রাখা হয়েছিল৷
advertisement
ওই মেরুন ডায়েরির সূত্র ধরেই তদন্তকারীরা তিনটি ভুয়ো সংস্থার নাম জানতে পারেন৷ ইডি সূত্রে খবর, ওই তিনটি সংস্থার নামে কবে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে কত টাকা করে দেওয়া হয়েছিল, ডায়েরিতে দিনক্ষণ দিয়ে তার বিস্তারিত হিসেব লেখা রয়েছে৷
আরও পড়ুন: ‘অত্যাচার করেছে?’ জ্যোতিপ্রিয়কে দেখেই প্রশ্ন বিচারকের, জবাব দিলেন বনমন্ত্রী
তবে শুধু ওই মেরুন ডায়েরি নয়, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, রেশন দুর্নীতি কাণ্ডের মূল চাঁই বাকিবুর রহমান এবং মন্ত্রীর প্রাক্তন আপ্ত সহায়ক অভিজিৎ দাসকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের নাম জানতে পারে তারা৷ শুধু তাই নয়, রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে অভিযুক্তদের সঙ্গে জ্যোতিপ্রিয়র হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটও তদন্তকারীদের হাতে এসেছে৷
যদিও এ দিন আদালতে ইডি-র পেশ করা তথ্যপ্রমাণকে খুব একটা শক্তপোক্ত বলে মানতে রাজি হননি বিচারক৷ কিন্তু যেভাবে মাত্র এক বছরের মধ্যে মন্ত্রীর স্ত্রীর সম্পত্তি কয়েকশো গুন বেড়ে গিয়েছে, তা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেন বিচারক৷