এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট-এর এক আধিকারিক সূত্রে খবর, বাজেয়াপ্ত সম্পত্তির তালিকায় রয়েছে বিভিন্ন রাজ্যে ও জেলায় ছড়িয়ে থাকা সংস্থার বিভিন্ন হোটেল, সংস্থার অধিকর্তা গৌতম কুণ্ডুর রোলস রয়েস সহ আটটি দামি গাড়ি এবং প্রচুর জমি ৷
কলকাতা ছাড়াও শিলচর, জয়পুর, মুম্বই, পোর্ট ব্লেয়ার, হরিদ্বার, ছত্তিশগড় ও গোয়া থেকে রোজভ্যালির নামে থাকা বিশাল সম্পত্তি সিজ করা হয়েছে ৷ এর মধ্যে রয়েছে মুম্বইয়ের ওরলির ৫০০০ স্কোয়ার ফিটের একটি ফ্ল্যাট, কলকাতার রাজারহাটের ১৪২ কাঠা জমি, মেদিনীপুর আর রামনগরের সাড়ে পাঁচ হাজার কাঠা জমি, বউবাজারের আড়াই হাজার স্কোয়ার ফিটের অফিস ছাড়াও আরও বহু সম্পত্তি ৷
advertisement
ইডি জানিয়েছে, হিসেব অনুযায়ী পুরো সম্পত্তি ৪৬৫ কোটি টাকার হলেও এখন তার বাজারদর ১,২৫৬ কোটি ৷ এর আগে রোজভ্যালির ২৬৩১টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্ত করেছিল ইডি ৷ যেখান থেকে প্রায় ২৯৫ কোটি টাকা মেলে ৷
২০১৪ সালে রোজভ্যালির চেয়ারম্যান গৌতম কুণ্ডু সহ রোজভ্যালির বাকি পদস্থ কর্তাদের বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের অভিযোগ ওঠে ও এফআইআর দায়ের করা হয় । সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই ২০১৫ সালে রোজভ্যালি কর্তা গৌতমকে গ্রেফতার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। বর্তমানে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রয়েছে গৌতম।
এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট-এর আগে রোজভ্যালি কাণ্ডে তদন্ত চালিয়েছিল সিবিআই ও সেবি ৷ তদন্তে প্রকাশ প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকার কেলেঙ্কারি করেছে রোজভ্যালি ৷ বেআইনি চিট ফাণ্ড চালানোর জন্য প্রায় ২৭টি কোম্পানি খুলেছিল সংস্থাটি ৷