স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বছর তিপান্নর শঙ্কর আঢ্যকে এলাকার মানুষ ডাকু নামে চেনেন। রাজনৈতিক পদোন্নতি ও সামাজিক প্রভাব তাঁর কার্যত শুরু হয়েছিল ২০১১ সালে, তৃণমূল এ রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর থেকে। সেই সময় থেকেই জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সঙ্গেও তাঁর সুসম্পর্ক গড়ে উঠতে শুরু করে।
আরও পড়ুনঃ রোজের জীবনে ছোট্ট ছোট্ট এই ৫ ভুল! কিডনিকে করে দেবে একেবারে শেষ! জানুন আজই
advertisement
২০০৫ সালে বনগাঁর প্রয়াত বিধায়ক ভূপেন্দ্রনাথ শেঠের উদ্যোগে শঙ্কর আঢ্য প্রথমবারের জন্য পুরসভার ভোটে দাঁড়িয়ে জয়লাভ করেন। ২০১০ সালে নিজের ওয়ার্ডটি মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত হয়ে যাওয়ায় তিনি ভোটে না দাঁড়িয়ে প্রার্থী করেছিলেন স্ত্রী জ্যোৎস্না আঢ্যকে। ভোটে জিতে জ্যোৎস্না আঢ্য পুরপ্রধান হন।
২০১১ সালে বিধানসভা ভোটের পর থেকেই শঙ্কর আঢ্য বনগাঁ রেডক্রস সোসাইটির সম্পাদক, বনগাঁ মহকুমা ক্রীড়া সংস্থার সম্পাদক ও পরে বনগাঁ শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতিও হয়েছিলেন। পাশাপাশি ব্যবসায়ী সংগঠনেরও গুরুত্বপূর্ণ পদ সামলেছেন। নিজের সাফল্যের পিছনে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ভূমিকার কথা ভোলেননি শঙ্কর আঢ্য। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে নিজের ‘রাজনৈতিক অভিভাবক’ বলেও মন্তব্য করেছেন।
উল্লেখ্য, এ দিন যখন শঙ্করকে নিয়ে গাড়ি রওনা দেয়, তখন ইডি অফিসারদের গাড়ি লক্ষ্য করে ইট ছোড়ে জনতার একাংশ৷ জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে লাঠি চালায় সিআরপিএফ জওয়ানরা৷ রাতেই শঙ্কর আঢ্যকে নিয়ে কলকাতায় রওনা দেন ইডি কর্তারা৷ আজ ইতিমধ্যেই তাঁকে আদালতে পেশ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, রেশন বণ্টন দুর্নীতি কাণ্ডে আগেই রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে গ্রেফতার করেছিল ইডি৷ সেই সূত্রেই এ দিন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে সকাল থেকে তল্লাশি শুরু করেন ইডি আধিকারিকরা৷ উত্তর চব্বিশ পরগণার সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখের বাড়িতে তল্লাশিতে গিয়ে আক্রান্ত হন ইডি আধিকারিক এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা৷ এক ইডি আধিকারিকের মাথা ফাটে৷ ইডি আধিকারিকদের গাড়িও ভাঙচুর করা হয়৷ আক্রান্ত হয় সংবাদমাধ্যমও৷ এরপর রাতে বনগাঁতেও শঙ্কর আঢ্যকে গ্রেফতারের পর আক্রমণের মুখে পড়তে হল ইডি কর্তাদের৷
আবীর ঘোষাল