সল্টলেক এফডি ব্লকের ৩৮৮ নম্বর বাড়িতে অয়নের যে অফিস ছিল, সেখানে প্রায় ৩৭ ঘণ্টা তল্লাশি চালান ইডির গোয়েন্দারা, একই সঙ্গে চলে অয়নকে জিজ্ঞাসাবাদ। তল্লাশি চালানো হয় অয়নের দুটি বিলাসবহুল গাড়িতেও, যে গাড়ি দুটি অয়নের কোম্পানির নামে রেজিষ্ট্রেশন বলে জানা যাচ্ছে। দীর্ঘ ম্যারাথন তল্লাশির পর অয়নের এই অফিস থেকে পুরসভায় নিয়োগ সংক্রান্ত বিস্ফোরক তথ্য পেয়েছেন ইডি কর্তারা।
advertisement
আরও পড়ুন: 'বাবা, বাবা' চিৎকার মেয়ের, পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি জিতেন্দ্রর! বিমানবন্দরে জোর নাটক
ইডি সূত্রের দাবি, রাজ্যের প্রায় ৬০ থেকে ৭০ টি পুরসভায় নিয়োগ প্রক্রিয়ার প্রশ্নপত্র, ওএমআর শিট পাওয়া গিয়েছে অয়নের এই অফিস থেকে। এছাড়াও বেশ কয়েকটি কম্পিউটারের হার্ড ডিস্ক এবং মোবাইল থেকেও প্রচুর তথ্য পেয়েছেন ইডি কর্তারা। নিয়োগ দুর্নীতি যে শুধুমাত্র শিক্ষা দফতরেই সীমাবদ্ধ নেই, তা আরও একবার উঠে এল এই ঘটনার মধ্যে দিয়ে।
আরও পড়ুন: অক্সিজেন মাস্ক পরে ঘুমোতে হচ্ছে রাতে! হঠাৎই কী হল অনুব্রত মণ্ডলের..
এতগুলি পুরসভার নিয়োগ সংক্রান্ত নথি পেশায় একজন প্রোমোটার অয়নের বাড়িতে এলো কীভাবে তা খতিয়ে দেখবেন ইডি আধিকারিকরা। পাশাপশি ৩৭ ঘণ্টার তল্লাশি অভিযানে ইডির নজর ছিল অয়ন শীলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট এবং আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত হিসেবের দিকেও। ইডি সূত্রের খবর, কোটি কোটি টাকা (প্রায় ৫০ কোটি বা তারও বেশি) লেনদেনের তথ্য পাওয়া গিয়েছে অয়নের অফিস থেকে।
অয়ন শীলের কম্পিউটার এবং মোবাইল থেকেই অনেক আর্থিক লেনদেনের তথ্য পেয়েছেন ইডি আধিকারিকরা। ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ সল্টলেকের অফিস থেকেই তাঁকে গ্রেফতার করে ইডি। সিজিও কমপ্লেক্সে আনার থেকেই মাঝে মাঝে বিরতি দিয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হচ্ছে ইডির তরফে। আদালতে পেশ করার পরে যদি তাঁর হেফাজত পায় এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট, তবে শান্তনুর সঙ্গে তাঁকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলেও খবর উঠে আসছে ইডি সূত্র মারফত