এখনও বাজারে আসেনি করোনার টীকা। ইউরোপ জুড়ে সেকেন্ড ওয়েভের আতঙ্ক। তাতে কী! বড়দিন বা বর্ষশেষের দিনে বন্ধুদের সঙ্গে হই-হুল্লোড় থাকবে না। এ তো ভাবাই কষ্ট। সবই থাকছে, থাকবেও। তবে অন্যবছরের থেকে এ বারের ছবিটা অনেকটাই আলাদা। এ বারে করোনা সংক্রমণ এড়িয়ে যাতে বড়দিন আর নিউইয়ার পালন করা যায়, সেই জন্য থাকছে বিশেষ ব্যবস্থা। তবে সে জন্য কোনওকিছুই বন্ধ থাকছে না।
advertisement
ইকোপার্ক থেকে কলকাতা চিড়িয়াখানা, সবই খোলা থাকছে। শুধু কিছু নিয়ম মেনে চললেই মস্তিতে কোনও বাধা নেই। হিডকো চেয়ারম্যান দেবাশিস সেন বলেন, 'কোভিড আটকাতে বিনোদন পার্কগুলিতে স্যানিটাইজেশনের ব্যবস্থা তো থাকছেই। তার সঙ্গে আমরা ভিড়কে ছড়িয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা রাখছি। যাতে কখনওই এক জায়গায় অনেক মানুষ জড়ো হতে না পারেন। সে জন্য টিকিট কাউন্টারগুলিও ছড়িয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।'
চিড়িয়াখানার অধিকর্তা আশিস কুমার সামন্ত বলেন, 'আমরা দর্শকদের স্যানিটাইজ করে চিড়িয়াখানায় ঢোকাব। তার পরেও যাতে কোথাও গাদাগাদি ভিড় না হয়, সে দিকে আমাদের নজর থাকবে।' নিকো পার্কের অধিকর্তা অভিজিৎ দত্ত বলেন, 'প্রথম থেকে যেভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছি, সে ভাবেই চলব। বর্ষশেষে ভিড় একটু বেশি হতে পারে ধরে নিয়ে নজরদারি বাড়ানো হচ্ছে।'
অতএব, আর চিন্তা নেই। সবই থাকছে, থাকবেও। তবে অন্য বছরের থেকে এবারে ছবিটা শুধু একটু আলাদা। এ বারে কোভিডের সংক্রমণ এড়িয়ে যাতে বড় দিন আর নিউ ইয়ার পালন করা যায়, সে জন্য ব্যবস্থা থাকছে। তবে সে জন্য কোনও কিছুই বন্ধ থাকছে না। কলকাতায় জাঁকিয়ে শীত। তার সঙ্গে হিমেল হাওয়া গায়ে জড়িয়ে এখন শুধু বাড়ি থেকে বেড়িয়ে পড়ার অপেক্ষা।
SHALINI DATTA