যে পার্ক থেকেই প্রস্তুত হওয়া যাবে পাহাড়ে চড়ার জন্যে। বিশিষ্ট পর্বতারোহীদের উপস্থিতিতেই চলবে এর প্রশিক্ষণ। কী কী থাকছে ইকো অ্যাডভেঞ্চার পার্কে? থাকছে কৃত্রিম ক্লাইম্বিং ওয়াল, বার্মা ব্রিজ, নেট, রোপ সবকিছুই। থাকছে পাহাড়ে চড়ার জন্যে সমস্ত রকমের আধুনিক গ্যাজেট। আর এই সব কিছু ব্যবহার করেই প্রস্তুত করে তোলা হচ্ছে কীভাবে পাহাড়ে চড়া যায়। এই প্রশিক্ষণ পর্বে যুক্ত আছেন পর্বতারোহী মলয় হালদার।
advertisement
আরও পড়ুন: হৃদয়ের শহরের জন্য মোদির কাছে আর্জি বাবুলের! TMC-র হয়েও একই গন্তব্য? জল্পনা...
মলয় জানাচ্ছিলেন, "রক ক্লাইম্বিং বা অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টস আসলে একটি বিজ্ঞান। সব কিছুতেই জড়িয়ে থাকে ক্যালকুলেশন৷ তাই এই ধরণের প্রশিক্ষণ নিয়মিত চলতে থাকলে কোনও অভিযানে গেলে বিপদের সম্ভাবনা অনেক কম থাকে।" বক্তব্যের সমর্থন জানিয়েছেন কৃষ্ণেন্দু পারিয়াল। তিনি নিজে জড়িত এই প্রশিক্ষণের সাথে। তিনি এই কেন্দ্রের সেক্রেটারিও বটে৷
আরও পড়ুন: বড় খবর! স্কুল খুলছে ১৬ তারিখ, কিন্তু বদলে গেল ক্লাসের সময়সীমা! শিক্ষকরা যাবেন কবে থেকে?
তিনি বলছেন, "এখানে অনেক শেরপা, অনেক নামীদামি অভিযাত্রী আসবেন। আমরা মাঝেমধ্যেই ক্যাম্প করব। শারীরিক ও মানসিক দুটির প্রস্তুতিই এখান থেকে হয়ে যাবে।" কৃষ্ণেন্দু বাবুর দুই মেয়ে স্বর্গারোহিণী ও কৌশানী যেমন ছোট থেকেই অভ্যস্ত পর্বতারোহণে। একাদশ শ্রেণীর দুই ছাত্রী নেচার ক্যাম্প থেকেই অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টসে৷ তারাও জানাচ্ছে আগামী দিনে প্রশিক্ষণের সব ধাপ সম্পন্ন করেই তারা এগোবে। এটাকেই জয় বলে মানছেন বিশিষ্ট পর্বতারোহী মলয় মুখোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: চরম দুঃসংবাদ! ডিজেলের চড়া দামে বন্ধের মুখে বেসরকারি ভলভো বাস পরিষেবা
তিনি জানিয়েছেন, "সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করলাম আর দল বানিয়ে ক্লাইম্বিং বা ট্রেকিং করতে চলে গেলাম এমনটা হয় না। যথাযথ প্রশিক্ষণ না থাকলে যে এই সব করা উচিত নয় সেটা সকলকে বুঝতে হবে৷ আর তাই এই কাজ শুরু করা হল।"আপাতত স্থির হয়েছে আয়কর বিভাগের সাথে যারা যুক্ত তাদের পরিবারের সদস্যদের এই সুযোগ দেওয়া হবে। আগামীদিনে ক্যাম্প হলে সবাই এসে সেই সুযোগ পেতে পারেন। আজ সন্ধ্যাতেই এই পর্ব চালু হয়ে যাবে।