নন্দীগ্রাম পর্বে শুভেন্দু অধিকারী এক অন্য অবতারে অবতীর্ণ হন। সম্বোধন থেকে রাজনৈতিক ভাষ্য-সবেতেই তিনি বোঝাতে থাকেন মেরুকরণই তাঁর তাস। অন্য দিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে শুভেন্দু মত ছিল, তিনি নন্দীগ্রামে জয়ের কথা ভাবছেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ভোটের দিকে তাকিয়ে। এই নিয়ে চাপানউতোরের মধ্যে শুভেন্দু অধিকারী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আপত্তিজনক ভাষায় সম্বোধন করেন। এই নিয়েই ৯ এপ্রিল তাঁকে শো-কজ করে কমিশন।
advertisement
শুভেন্দু শো-কজের জবাবে লেখেন, তিনি সুষ্ঠু নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বিশ্বাসী। তিনি কাউকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করতে চাননি বলেও জানান। লেখেন, ভোটের জন্য তিনি কোনও ভাবেই সাম্প্রদায়িকতার আশ্রয় নেননি। পাশাপাশি তিনি কমিশনের মতো গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানের উপর ভরসা রাখার কথাও জানান। যদিও বলাই বাহুল্য কমিশন তাতে সন্তুষ্ট হয়নি। তবে কমিশন কোনও ব্যবস্থাও নেয়নি। তাঁকে সতর্ক করেই এবারের মতো ছাড়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, শুধু শুভেন্দুই নয়, কমিশনের কোপে পড়েছেন বিজেপির অন্যান্য নেতারাও। শীতলকুচি কাণ্ডে বিতর্কিত মন্তব্য করে দুদিনের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন রাহুল সিনহা। তিনি আগামী দুদিন প্রচার করতে পারবেন না। অন্য দিকে বিজেপির রাজ্য সভাপতির কাছেও শীতলকুচি সংক্রান্ত মন্তব্যের জন্য ব্যখ্যা চেয়ে পাঠিয়েছে কমিশন। উত্তর না পেলে তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণের কথাও বলা হয়েছে কমিশনের চিঠিতে।