ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন এই বৈঠকে যোগ দেবেন। নবান্ন সভাঘরে এই বৈঠককে ঘিরে নানা জল্পনা শুরু হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর আলাদা করে বৈঠক হওয়ার কর্মসূচি এখনও পর্যন্ত না জানা যায়নি। তবে দু’জনেই বৈঠকের শেষে একসঙ্গে মধ্যাহ্নভোজ করবেন। প্রসঙ্গত, ৫ নভেম্বর এই বৈঠক ডাকা হয়েছিল। কিন্তু স্বরাষ্টমন্ত্রীর ব্যস্ততার জন্য শেষ মুহূর্তে তা বাতিল করা হয়। এই বৈঠকে যোগ দিতে শুক্রবার রাতেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কলকাতায় এসে পৌঁছেছেন।
advertisement
আরও পড়ুন- মমতা-অমিত মুখোমুখি সাক্ষাতের সম্ভাবনা, প্রস্তুতি নিচ্ছে নবান্ন
পশ্চিমবঙ্গ-সহ পূর্ব ভারতের চার রাজ্য বিহার, ওড়িশা ও ঝাড়খণ্ড এই কাউন্সিলের সদস্য। মূলত প্রতিবেশী রাজ্যগুলির মধ্যে আভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও পরিকাঠামোগত ক্ষেত্রে যৌথ উদ্যোগ আলোচনা ও সমাধানের পথ খুঁজতেই সদস্য রাজ্যগুলিতে ঘুরে ঘুরে এই কাউন্সিলের বৈঠক বসে প্রতি বছর। এবার পশ্চিমবঙ্গ তাই এই বৈঠকের আয়োজক। রাজনাথ সিং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থাকার সময় নবান্ন সভাঘরে এই বৈঠক বসেছিল। বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী তেজস্বী যাদব এবং ওড়িশার স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তুষারকান্তি বেহেরা প্রতিনিধিত্ব করবেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় ভাল্লা, কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রধানরা এই বৈঠকে থাকবেন। সদস্য রাজ্যগুলির সচিব পর্যায়ের প্রতিনিধিদল অংশ নেন।
আরও পড়ুন- মমতার আগে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে অমিত শাহের বৈঠক কী শাহী কৌশল ? জোর চর্চা
নবান্ন সূত্রের খবর, ডিভিসির জলছাড়া, মহানন্দা ও ময়ূরাক্ষীর জলবন্টন নিয়ে এই বৈঠকে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। জল নিয়ে প্রতিবেশী রাজ্যগুলির মধ্যে নানা সময়ে জটিলতা তৈরি হয়। এ ছাড়াও ফ্রেট করিডোর তৈরির জমি অধিগ্রহণের বিষয়টি আলোচ্যসূচিতে রয়েছে। নবান্ন সূত্রের খবর, প্রতিবছরই ডিভিসির জল নিয়ে প্রতিবছরই পশ্চিমবঙ্গ, বিহার ও ঝাড়খন্ডের মধ্যে জটিলতা তৈরি হয়। আবার মহানদীর জল নিয়েও ওড়িশার সঙ্গে বিহারের বিরোধ রয়েছে। এ ছাড়াও ফ্রেট করিডোর তৈরির ক্ষেত্রে জমি অধিগ্রহণের কাজ প্রতি বেশি চার রাজ্যে সমান গতিতে এগোচ্ছে না।
শিল্প বিকাশ-সহ যোগাযোগের ক্ষেত্রে এই করিডোর আগামী দিনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে। এ ছাড়া বিদ্যুতের গ্রিড ও আন্তঃরাজ্য সীমান্ত দিয়ে জালনোট ও মাদক চোরাচালান-সহ সবধরণের অপরাধ মোকাবিলার বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হওয়ার কথা। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে দাবি করা হচ্ছে, এদিনের বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে একটি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুকে তুলে ধরা হতে পারে, যেখানে পরিষদের সদস্য রাজ্যগুলির পারস্পরিক সমন্বয়ের উপরে জোর দেওয়া হবে ৷