যে ট্রেনে টেলিভিশন বসানো হয়েছে, সেই ট্রেনে থাকবেন যে সংস্থার মাধ্যমে টেলিভিশন বসানো হয়েছে, সেই বেসরকারি এজেন্সির প্রতিনিধিরা ৷ এ ছাড়া রাতের ট্রেনে কামরায় বিষয়টি দেখে নেবে রেল পুলিশ। এ ছাড়া ওই ট্রেন যখন গিয়ে কারশেডে পৌঁছবে তখনও দেখা হবে। যদি কোনও টিভি নির্দিষ্ট জায়গায় না থাকে, তা হলে তৎক্ষণাৎ রেলরক্ষী বাহিনী ও লাইসেন্সিদের জানানো হবে।
advertisement
ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে তৎপরতা শুরু হয়েছে। পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক একলব্য চক্রবর্তী জানিয়েছেন, " নির্বাক সিনেমা দেখানো হচ্ছে। দর্শকদের দেখেও ভাল লাগছে। তাঁরাই সিদ্ধান্ত নেবেন যদি কেউ সম্পত্তি নষ্ট করতে চান তাঁদের ব্যাপারে। আমাদের আশা মানুষের ভাল লাগবে। সাধারণত, রাতের লোকাল ট্রেনেও আরপিএফ এবং জিআরপি মোতায়েন থাকে। ফলে তাঁরা নজরদারি চালাবেন। সোমবার থেকে লোকাল ট্রেনে চালু হয়েছে টেলিভিশন। পূর্ব রেলের হাওড়া ডিভিশন প্রথম এই ব্যবস্থা চালু করেছে। ধাপে ধাপে বাকি ডিভিশনেও লোকাল ট্রেন বা ইএমইউ-তে থাকতে চলেছে টেলিভিশন। "
আরও পড়ুন : কলকাতায় ফিরলেন পার্থ, নিয়ে যাওয়া হল সিজিও-তে, টানা জেরা করতে চায় ইডি
আরও পড়ুন : জামিনের আবেদন খারিজ, ১০ দিনের ইডি হেফাজতে থাকবেন পার্থ ও অর্পিতা
সোমবার থেকে হাওড়া স্টেশনে চালু হয়ে গিয়েছে এই ট্রেন ইনফোটেনমেন্ট। প্রতিটি কোচের একেবারে শেষ দুটি প্রান্তে দুটো করে মোট চারটি এলইডি টিভি বসছে । প্রতিটি টিভির মাপ হচ্ছে ২৭ ইঞ্চির মাপে। টিভির স্ক্রিনের মোট মাপের একটি অংশে যাত্রীরা দেখতে পাবেন নানা ধরনের বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান ৷ খেলা, শর্ট ফিল্ম, নানা সিনেমার প্রোমো, সিনেমার গুরুত্বপূর্ণ অংশ, নাচ, গান, ভ্রমণ সংক্রান্ত নানা অনুষ্ঠান দেখানো হবে। বাকি অংশে দেখানো হবে রেলের নানা সতর্কীকরণ বার্তা। দেখানো হবে রেলের নানা পরিষেবামূলক অনুষ্ঠান৷ তবে মূল অংশ জুড়ে আসলে রেল নানা বাণিজ্যিক ভিজুয়াল দেখিয়ে উপার্জন করতে চায় ৷ রেল সূত্রে জানানো হয়েছে, যা যা ঘোষণা করা হয়, সেগুলিই টিভিতে দেখানো হবে । যেমন, টিকিট কেটে যাতায়াত করুন, রেললাইন পারাপার করবেন না, কামরায় ধূমপান না করা, কামরায় মদ্যপান না করা, বেআইনি সামগ্রী রেলের কামরায় না বহন করার মতো সতর্কবার্তার প্রচার চলবে।