বিশেষ করে ভাবাদিঘি-প্রকল্পের জটিলতার কথা মনে করিয়ে দিয়ে সাংসদের কাছে পূর্ব রেলের শীর্ষ আধিকারিকদের অনুরোধ, কাজ শেষ করতে উদ্যোগী হন। তারকেশ্বর থেকে বিষ্ণুপুর পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণের ক্ষেত্রে ভাবাদিঘি এলাকায় জমি-জট কাটাতে সাহায্য চান পূর্ব রেলের জিএম। আরামবাগের সাংসদ মিতালি বাগ সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
তবে একাধিক সাংসদ যে দাবি রেখেছেন রেলের কাছে, সেখানে বন্দে মেট্রো, শিয়ালদহ ডিভিশনে এসি লোকাল ট্রেন, আরও বেশি লোকাল ট্রেন ও বেশ কিছু জায়গায় ব্রিজ বা রেলওয়ে ওভারব্রিজ তৈরির আবেদন জানিয়েছেন।
advertisement
দুই ডিভিশনের বিভিন্ন এলাকায় রেল পরিষেবার সম্প্রসারণ, স্টেশনের উন্নয়ন, নতুন ট্রেন চালু, উড়ালপুল নির্মাণ-সহ একাধিক দাবিদাওয়া তুলে ধরেন সাংসদেরা। রানাঘাটের সাংসদ জগন্নাথ সরকার দাবি জানান কল্যাণী এবং রানাঘাট পর্যন্ত মেট্রো পরিষেবা সম্প্রসারিত করার। শিয়ালদহ থেকে বনগাঁ এবং রানাঘাট পথে বন্দে মেট্রো এবং শিয়ালদহ শাখায় বাতানুকূল লোকাল ট্রেন চালানোর দাবি জানান শমীক। মথুরাপুরের সাংসদ বাপি হালদার দাবি তোলেন জয়নগর, মজিলপুর এবং রায়দিঘি পর্যন্ত রেলপথ সম্প্রসারণের । চুঁচুড়া, কাটোয়া, মেমারি, মশাগ্রাম-সহ একাধিক জায়গায় উড়ালপুলের দাবি জানান রচনা এবং শর্মিলা। মুর্শিদাবাদে বিভিন্ন রেল পরিষেবার সম্প্রসারণের দাবিও ওঠে।
প্রসঙ্গত জমি নিয়ে একাধিকবার রাজ্যের ভূমিকার সমালোচনা করে চিঠি দিয়েছে রেল। খোদ রেলমন্ত্রী জমি চেয়ে আহ্বান করেছেন। সব রাজনৈতিক দলের সাংসদদের কাছে তা আরও একবার মনে করিয়ে দিল রেল।
