গোটা ঘটনায় ভীষণ চিন্তিত কে এম আর সি এল কর্তৃপক্ষ। আপাতত স্যানিটাইজেশনের কাজের জন্যে বন্ধ রাখা হয়েছে প্রিন্সেপ ঘাটের কাছে কে এম আর সি এলের অফিস। ধর্মতলায় মেট্রো প্রকল্পের যে অফিস আছে তাও পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। টানেল সহ গোটা অফিস এলাকা স্যানিটাইজ করা হচ্ছে বারবার। কে এম আর সি এলের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মানস সরকার জানিয়েছেন," বেশ কয়েকজন শ্রমিককে পাঠানো হয়েছে রাজারহাটে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে। সকলকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাবতীয় স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি বা প্রটোকল মেনে সমস্ত কাজ করতে।"
advertisement
এসপ্ল্যানেড থেকে বউবাজার অবধি অংশে কাজ বন্ধ থাকলেও, হাওড়া ময়দান, হাওড়া স্টেশন সন্নিহিত প্রকল্প এলাকায় যে ভাবে রেল পাতার কাজ শুরু হচ্ছিল তা বজায় থাকবে। তবে প্রকল্প এলাকায় প্রবেশের ক্ষেত্রে বেশ কিছু বিধি নিষেধ থাকবে। কে এম আর সি এলের কর্তারা স্বীকার করে নিয়েছেন, গত তিন মাসে লকডাউনের জন্যে প্রকল্পের কাজ এমনিতেই ভীষণ শ্লথ হয়েছে। এবার করোনা আক্রান্ত হওয়ার কারণে সেই সমস্যা আরও বাড়ল।
অপরদিকে আর ভি এন এল কাজ করছে বাকি বেশ কিছু মেট্রো প্রকল্পে। সেখানেও শ্রমিক এবং ইঞ্জিনিয়ারদের কাজের জন্যে যাতে কোনও অসুবিধা না হয় তা দেখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ছোট ছোট দল বিভিন্ন শিফটে ভাগ করে এই কাজ করে যাচ্ছে। কোনও শ্রমিক কাজে যোগ দিতে আসলে আগে তাকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে। তারপরে কাজে যোগ দিতে বলা হয়েছে।